ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় করা রিটের শুনানি হয়েছে।
শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা যদি সত্যি হয় তাহলে সেটি অবশ্যই নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, ‘এটা আনএক্সপেকটেড (অপ্রত্যাশিত)। একজন অধ্যক্ষের মুখ থেকে এ ধরনের ভাষা আশা করা যায় না।’
পরে আদালত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ঠিক করে দেয় আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার শুনানি হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন গত ২৭ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষার্থী তার বাবাকে অডিওটি শুনায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে আসায় এরই মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সম্পর্কে সব শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে। সার্বিক বিষয়টি নিয়ে আমরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করি।
‘আদালত রিটের শুনানি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্টটি ৩০ আগস্টের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছেন। এ সময় আদালত বলেছেন, এই ফোনালাপ যদি সত্য হয় তাহলে বিষয়টি নিন্দনীয়।’
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে গত ৮ জুলাই হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিটে কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রিটটি করেন।
রিটে শিক্ষাসচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়।
গত ২৭ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়।
ফোনালাপে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগের বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।