মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে করা দুই মামলায় প্রযোজক-পরিচালক নজরুল ইসলাম রাজকে আবার রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
চার দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হয়।
আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে মাদক মামলায় রাজকে দুই দিন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়।
গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে মাদকসহ চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আটক করে র্যাব।
বাসায় অভিযান শেষে পরীমনিকে নিজেদের জিম্মায় র্যাবের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ অভিনেত্রীর বাসায় অভিযান শেষ হতেই বনানীতেই অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় প্রযোজক-পরিচালক রাজকে।
র্যাব জানায়, পরীর বাসা থেকে জব্দ করা হয় আট বোতল প্লাটিনাম লেভেল, তিনটি ব্ল্যাক লেভেল, দুটি সিভাস সিগ্যাল, দুটি ফক্স গ্রোভ, একটি ব্লু লেভেল, দুটি গ্ল্যানলিভেট, একটি গ্ল্যানফিডিচ বোতল।
এ ছাড়া এ অভিনেত্রীর বাসা থেকে জব্দ হয়েছে চার গ্রাম আইস ও এক স্লট এলএসডি। জব্দ তালিকায় একটি বং পাইপের কথাও বলা হয়েছে।
চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রাজের অফিস থেকে বিপুল মদ জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
জব্দ তালিকায় উল্লেখ করা হয়, তার বাসায় মিলেছে সাত বোতল গ্ল্যানলিভেট, দুটি গ্ল্যানফিডিচ, চারটি ফক্স গ্রোভ ও একটি প্লাটিনাম লেভেল।
এর বাইরে সিসায় ব্যবহৃত চারকোলের একটি প্যাকেট, দুই সেট সিসার সরঞ্জাম, দুই ধরনের সিসা তামাক, সিসা সেবনের জন্য ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের একটি রোল, ৯৭০ পিস ইয়াবার কথাও বলা হয় জব্দ তালিকায়।
এ ছাড়া যৌনাচারের জন্য ব্যবহৃত ১৪টি বেআইনি সরঞ্জাম, একটি সাউন্ড বক্স ও দুটি মোবাইল ফোন এবং একটি মেমোরি কার্ড জব্দের কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বনানী থানায় পরীমনি, রাজ এবং অন্য দুজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা দুটি মামলা করে র্যাব।
এর আগে র্যাব কার্যালয়ে পরীমনি ও রাজকে আটকের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানোর পর বনানী থানায় নিয়ে আসা হয়।
র্যাব জানায়, অ্যালকোহলের চাহিদা মেটাতে পরীমনি নিজ বাসায় ‘মিনি বার’ স্থাপন করেছিলেন।
ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পরীমনির বাসার মিনি বারে বিভিন্ন বিদেশি মদ, ইয়াবা, এলএসডি ও আইস পাওয়া গেছে। পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা এ তথ্য জেনেছি।
‘আমরা জেনেছি, ২০১৬ সালে অ্যালকোহলে আসক্ত হন তিনি। চাহিদা মেটাতেই এই মিনি বার স্থাপন করেন। বিভিন্ন সময় তার বাসায় ডিজে পার্টির আয়োজন করতেন। এই মিনি বারে অ্যালকোহল সরবরাহ করতেন নজরুল ইসলাম রাজ।’
মাদকের মামলার পর রাজের নামে পর্নোগ্রাফির মামলা করে পুলিশ।
এসব মামলায় রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার রাজকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে নতুন করে রিমান্ডে পাঠায়।