ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) গুলশান বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে চিত্রনায়িকা পরীমনির সম্পর্কের ঘটনায় পুলিশ বিব্রত বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপির কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
নিজ কার্যালয়ে মঙ্গলবার অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনির সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় সামনে আসার পর সম্প্রতি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ডিবির এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে।
ডিবি থেকে সরিয়ে তাকে মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন।
পিওএমে পুলিশের ব্যাকআপ ফোর্স থাকে। জরুরি প্রয়োজনে তাদের ব্যবহার করা হয়।
এ বিষয়ে ডিবির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘তার (সাকলায়েন) অনেক কাহিনি দেখেছি তো আমরা, যে কারণে বলেছি একটু সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।’
ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘তার (সাকলায়েন) বিরুদ্ধে এ ঘটনায় কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে মঙ্গলবার কথা বলার সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, পরীমনির পৃষ্ঠপোষকদের কোনো তালিকা হচ্ছে না, তবে পরীমনির মাদক মামলার বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, ‘অনেকে বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছেন। এই বিষয়টিকে (পরীমনি ঘনিষ্ঠতা) কাজে লাগিয়ে অনেকে চাঁদা দাবি করছেন।
‘সামাজিক ভয়ে অনেকে মামলা করছেন না। যারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তারা মামলা করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’
গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে মাদকসহ চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আটক করে র্যাব।
পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। এ মামলায় পরীমনিকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। ওই রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয় তাকে।
পরীমনির বাসায় অভিযানের পর থেকেই তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নাম আসতে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে আসে গুলশান ডিবির কর্মকর্তা সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমনির সম্পর্কের বিষয়টি।
পুলিশ জানায়, ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে পরীমনির সঙ্গে এডিসি সাকলায়েনের সম্পর্ক হয়।
ওই মামলার সুপারভাইজার (তত্ত্বাবধায়ক) ছিলেন সাকলায়েন।