চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে। এমন খবরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালত প্রাঙ্গণে দেখা গেছে শত শত মানুষের ভিড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে অর্ধশতাধিক পুলিশ।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে আনা হয় পরীমনিকে। এ অভিনেত্রীকে বহনকারী গাড়িটি আদালত চত্বরে আসতেই তাকে দেখতে শুরু হয় উৎসুক মানুষের ছোটাছুটি। তৎপরতা দেখা যায় শতাধিক সংবাদকর্মীর।
তবে পরীমনিকে দেখার তেমন সুযোগ পাওয়া যায়নি। তার গাড়িটি আসতেই ঘিরে ফেলে পুলিশ। গাড়ি থেকেই নিয়ে যাওয়া হয় এজলাসে। নিরাপত্তার স্বার্থে এবার এজলাসে কোনো সংবাদকর্মীকেও প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
পরীমনিকে দেখতে আসা কামাল হোসেন নামে একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওদের সিনেমায়, ইউটিউবে দেখি। বাস্তবে দেখার এটাই সুযোগ। তাই আইলাম আরকি।’
একাধিক পুলিশ সদস্য নিউজবাংলাকে জানান, পরীমনিকে আদালতে তোলা হবে বলে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। এ জন্য ৫৫ জন পুলিশের একটি দল দায়িত্বে আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রসিকিউশন বিভাগের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এর আগে পরীমনিকে আদালতে আনার পর প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। নায়িকা দেখার জন্যও অনেক মানুষ আসে। এ জন্যই এবার বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
পরীমনিকে দেখতে আদালত চত্বরে ছুটে এসেছেন তার শতবর্ষী নানা শামছুল হক গাজী।
শামছুল হকের দাবি, তার বয়স ১১০ বছর। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলেন, ‘পরীমনি আমার কাছেই বড় হয়েছে। শেষ বয়সে আমি তার কাছেই থাকছিলাম। মেয়েটার বাপ-মা কেউ নাই। আমার কাছেই বড় হয়েছে, মানুষ হয়েছে।
‘ওর জন্য দুশ্চিন্তায় আমার ঘুম হয় না। কেউ নেই ওকে দেখার জন্য। আমার নিজেরও কিছুদিন হলো অপারেশন হয়েছে। এখনও আমি অসুস্থ। তাকে কতদিন দেখি না। তাই বাধ্য হয়েই একনজর দেখতে আদালতে এসেছি।’
মাদক নিয়ন্ত্রণ মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনিকে আদালতে তোলে সিআইডি। গত ৪ আগস্ট বনানীর নিজ বাসা থেকে মাদকসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন এ অভিনেত্রী।