করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেয়া শাটডাউন শেষে সব আসনে যাত্রী নিয়ে বুধবার থেকে সারা দেশে চলাচল করবে ৫৮ জোড়া ট্রেন।
সব ধরনের প্রস্তুতি শেষে সোমবার থেকে টিকিট বিক্রিও শুরু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে যাত্রীরা টিকিট নিতে কাউন্টারে এসেছেন, তবে সেখানে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়নি।
তিন থেকে চারজনের লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টারগুলো থেকে টিকিট সংগ্রহ করছিলেন যাত্রীরা। ভোগান্তি ছাড়া টিকিট পেয়ে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেন।
আমিনুল ইসলাম নামের এক যাত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খুব সহজেই টিকিট পেয়ে গেলাম। কোনো ভোগান্তি নেই। আমি রাজশাহী যাওয়ার জন্য টিকিট কাটলাম।’
আজিম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘টিকিট নেয়ার জন্য আজকে বেশিক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। আমি মাত্র ৪ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়ে গেলাম। লালমনিরহাট যাব দেখে দুই দিন আগেই অগ্রিম টিকিট কেটে নিলাম।’
বন্ধুসহ ট্রেনের টিকিট নিতে আসা আব্দুল হাই নামের এক যাত্রী বলেন, ‘দিনাজপুরে যাব ব্যবসার কাজে। কাউন্টারে ভিড় থাকবে বলে তাড়াতাড়ি চলে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি কাউন্টারে ভিড় নেই। সহজেই টিকিট পেয়ে গেলাম।’
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামীকাল থেকে সারা দেশে ৩৮ জোড়া আন্তনগর ট্রেন এবং ২০ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এর মধ্যে আগামীকাল ঢাকা থেকে ছাড়বে ২৫ জোড়া আন্তনগর ট্রেন এবং ১২ জোড়া মেইল ও কমিউনিটার ট্রেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ তারিখের টিকিট দেয়া হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
‘স্টেশনের ১০টি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সার্ভারে জটিলতা না থাকায় কাউন্টারে সহজেই টিকিট কাটতে পারছেন যাত্রীরা।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রীদের স্টেশন প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে হবে জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্টেশনে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা আছে এবং শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেই প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের প্রবেশ করানো হবে।’
ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ আছে বলেও জানান স্টেশন মাস্টার।