বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাভারে অধ্যক্ষ খুন: খণ্ডিত দেহাবশেষের পর মিলল মাথা

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২১ ২০:০১

আশুলিয়ার নরসিংহপুর রূপায়ন মাঠ এলাকায় সাভার রেসিডেনশিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের মাটি খুঁড়ে সোমবার বেলা ২টার দিকে অধ্যক্ষ মিন্টুর মরদেহের পাঁচটি টুকরা উদ্ধার করে র‍্যাব। বিকেলে রাজধানীর আশকোনা থেকে তার বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়।

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে কলেজ অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মনের খণ্ডিত দেহাবশেষের পর বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

রাজধানীর আশকোনা এলাকার একটি ডোবায় পুঁতে রাখা মাথাটি সোমবার বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে বেলা ২টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর রূপায়ন মাঠ এলাকায় সাভার রেসিডেনশিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের মাটি খুঁড়ে অধ্যক্ষের মরদেহের পাঁচটি টুকরা উদ্ধার করেন র‌্যাব সদস্যরা।

২৮ দিন ধরে নিখোঁজ অধ্যক্ষ মিন্টুর মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারের পর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব।

তখন জানানো হয়, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে কলেজের শিক্ষক রবিউল ইসলাম, তার ভাগনে মো. বাদশা ও মো. মোতালেবকে। তাদের দেয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে কলেজমাঠের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় মিন্টুর দেহের খণ্ডিত অংশ।

নিজের কলেজের মাঠ খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় অধ্যক্ষ মিন্টুর মরদেহের খণ্ডিত অংশ। ছবি: নিউজবাংলা

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন মিন্টু, রবিউল ও মোতালেব। এর অধ্যক্ষ পদে ছিলেন মিন্টু।

গত ১৩ জুলাই রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন মিন্টু চন্দ্র বর্মন। ২২ জুলাই পরিবারের পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর তদন্ত শুরু করে র‍্যাব।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে আটক করা হয় রবিউলকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মিন্টুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যে হত্যায় জড়িত বাদশাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও মোতালেবকে রাজধানীর আশকোনা থেকে আটক করা হয়।

তিনজনই জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা ও মরদেহ গুমের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানায় র‍্যাব।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কলেজের মালিকানা নিয়ে মিন্টুর সঙ্গে আসামিদের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। এর জেরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় গত ৭ জুলাই।

র‍্যাব জানায়, লকডাউনের মধ্যেও কলেজের ভেতর সন্ধ্যার পর কোচিং ক্লাস নেয়া হতো। কোচিং শেষে গত ১৩ জুলাই রাতে মিন্টুকে কলেজের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন আসামিরা। এরপর মরদেহ ছয় টুকরা করে পাঁচ টুকরা কলেজ প্রাঙ্গণে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখেন তারা। মাথা ফেলা হয় আশকোনার একটি ডোবায়।

কলেজের ভেতরের সিঁড়ির নিচ থেকে হত্যা ও গুমে ব্যবহার হওয়া দা, হাতুড়ি, শাবল এবং আসামিদের রক্তমাখা পোশাক জব্দ করার কথা জানিয়েছে র‍্যাব।

মিন্টু চন্দ্র বর্মনের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায়। রবিউল ও মোতালেবের সঙ্গে মিলে সাভারে ওই কলেজটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন দুই বছর আগে।

এ বিভাগের আরো খবর