বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অধ্যক্ষ খুন কলেজের মালিকানার দ্বন্দ্বে, টুকরা করে মাটিচাপা

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২১ ১৫:২১

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করেন। তারা জানান, কলেজের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে অধ্যক্ষ মিন্টুকে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ ছয় টুকরা করে গুম করা হয়।

কলেজের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে অধ্যক্ষকে হত্যা করে মরদেহ ছয় টুকরা করেছেন ওই কলেজের শিক্ষকসহ তিনজন। মরদেহের অংশগুলো আশুলিয়ার ওই প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও রাজধানীর আশকোনায় গুম করেন তারা।

২৮ দিন ধরে নিখোঁজ আশুলিয়ার রেসিডেনশিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মনের মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারের পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে র‍্যাব।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে কলেজের শিক্ষক রবিউল ইসলাম, তার ভাগনে মো. বাদশা ও মো. মোতালেবকে। তাদের দেয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে কলেজ মাঠের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় মিন্টুর দেহের খণ্ডিত অংশ। তবে বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায়নি। সেটি খুঁজতে রাজধানীর আশকোনায় একটি ডোবায় অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে র‍্যাব।

আশুলিয়ার নরসিংহপুর রূপায়ন মাঠ এলাকার কলেজে অভিযান শেষে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন মিন্টু, রবিউল ও মোতালেব। এর অধ্যক্ষ পদে ছিলেন মিন্টু।

গত ১৩ জুলাই রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন মিন্টু চন্দ্র বর্মন। ২২ জুলাই পরিবারের পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর তদন্ত শুরু করে র‍্যাব।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে আটক করা হয় রবিউলকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মিন্টুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যে হত্যায় জড়িত বাদশাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও মোতালেবকে রাজধানীর আশকোনা থেকে আটক করা হয়।

তিনজনই জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা ও মরদেহ গুমের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানায় র‍্যাব।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কলেজের মালিকানা নিয়ে মিন্টুর সঙ্গে আসামিদের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। এর জেরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় গত ৭ জুলাই।

র‍্যাব জানায়, লকডাউনের মধ্যেও কলেজের ভেতর সন্ধ্যার পর কোচিং ক্লাস নেয়া হতো। কোচিং শেষে গত ১৩ জুলাই রাতে মিন্টুকে কলেজের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন আসামিরা। এরপর মরদেহ ছয় টুকরা করে পাঁচ টুকরা কলেজ প্রাঙ্গণে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখেন তারা। মাথা ফেলা হয় আশকোনার একটি ডোবায়।

কলেজের ভেতরের সিঁড়ির নিচ থেকে হত্যা ও গুমে ব্যবহার হওয়া দা, হাতুড়ি, শাবল এবং আসামিদের রক্তমাখা পোশাক জব্দ করার কথা জানিয়েছে র‍্যাব।

মিন্টু চন্দ্র বর্মনের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায়। রবিউল ও মোতালেবের সঙ্গে মিলে সাভারে ওই কলেজটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন দুই বছর আগে।

এ বিভাগের আরো খবর