বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীমনিকে নিয়ে আমি প্রবল মিথ্যাচারের শিকার: মাসরুর

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২১ ১০:৩৬

নায়িকা পরীমনির সঙ্গে জড়িয়ে যেসব খবর প্রকাশ হয়েছে, সেগুলোকে ‘হলুদ সাংবাদিকতা’ আখ্যা দিয়েছেন সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন। এ নিয়ে ফেসবুকে বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ১২টা ২০ মিনিটে পোস্ট দেন তিনি।

ধরাধামে পরীমনি নামের কাউকে দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও লেখক মাসরুর আরেফিন।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির সঙ্গে মাসরুরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং নায়িকাকে ব্যাংক কর্মকর্তার তিন কোটি টাকার গাড়ি উপহার দেয়া নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

এসব প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকে পোস্ট দেন মাসরুর। এতে তিনি দাবি করেন, পরীমনির সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই তার।

মাসরুর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিএসইসি আয়োজিত রোডশোতে ছিলেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে পরীমনিকে নিয়ে দেয়া পোস্টে লেখেন, যেসব খবর প্রকাশ হয়েছে, সেগুলো হলুদ সাংবাদিকতা।

মাসরুর পোস্টটি দিয়েছেন বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ১২টা ২০ মিনিটে।

এতে তিনি লেখেন, ‘আমেরিকায় বিএসইসি আয়োজিত বিনিয়োগ রোডশোতে অংশ নিয়ে আমি এখন ঢাকার পথে। এর মধ্যেই শিকার হলাম এক প্রবল মিথ্যাচারের। ইত্তেফাক লিখে দিল: একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিনের সঙ্গে পরীমনির অডিও রেকর্ডে একটি গাড়ি উপহার দেওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত রুবেলের সঙ্গে পরীমনির গভীর সখ্যের বিষয়টি কথোপকথনে উঠে এসেছে।’

কিছুদিন আগে পরীমনি ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। সে ঘটনায় নাম আসে আরেক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন আহমেদের। সে ঘটনার আগে মাসরুর আরেফিন পরীমনির নামও শোনেননি বলে জানিয়েছেন পোস্টে।

তিনি লেখেন, “আমার কোনো কিছু বলার কোনো ভাষা নেই। আমি এই মর্ত্যের পৃথিবীতে, এই ধরাধামে পরীমনি নামের কাউকে দেখিনি। অতএব তার নম্বর আমার কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এমনকি ‘বোট ক্লাব’ ঘটনার আগে পর্যন্ত পরীমনি নামটাও শুনিনি। আমার তখন মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে হয়েছিল যে, কে এই পরীমনি?”

ব্যাংক কর্মকর্তা এ লেখক দাবি করেন, তিনি ঘরমুখী মানুষ। ব্যাংকিং ও সাহিত্য নিয়েই তার সময় কাটে। এমনকি তিনি কোনো পার্টিতে যান না বলেও জানান।

তাই পরীমনির সঙ্গে তার সম্পর্ক ও তাকে গাড়ি উপহার দেয়ার বিষয়টিতে তিনি ‘মঙ্গলগ্রহের ভাষার মতো কানে লাগছে’ বলে উল্লেখ করেন পোস্টে।

পরীমনিকে গাড়ি উপহার দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মাসরুর বলেন, তার নিজের কোনো গাড়ি নেই।

তিনি লেখেন, ‘আমার নিজের একটাও গাড়ি নেই। ব্যাংক আমাকে চলার জন্য গাড়ি বরাদ্দ দিয়েছে, তাতেই চড়ি। ব্যাংকের চাকরির শেষে নিশ্চয়ই কোনো ব্যাংক থেকে কার লোন নিয়ে একটা গাড়ি কিনে তাতে চড়ব।’

পরীমনিকে জড়িয়ে অভিযোগকে অসত্য ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন মাসরুর।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘কোনো অভিযোগের মধ্যে মিনিমাম এক সুতো সত্য থাকতে হয়। কিন্তু এ এক ভয়ংকর বিষয় যে, আমি যাকে চিনি না, জীবনে যার বা যাদের সঙ্গে হ্যালো বলা দূরে থাক, যাদের নামটা পর্যন্ত আমি প্রথম জানলাম এই কদিন আগে, সেই নায়িকা বা মডেলকে আমি গাড়ি দিয়ে ফেললাম? কোথায় যোগাযোগ হলো আমাদের? ফোন কল? তার নাম্বার কী? কল রেকর্ড আনা হোক।’

সংবাদ প্রতিবেদনগুলো নিজের ও সিটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ‘সস্তা ষড়যন্ত্র’ দাবি করে মাসরুর বলেন, ‘‘তাহলে ঘটনা কী? আমি সত্যি জানি না, ঘটনা কী। বুঝি যে, আমাকে নিয়ে (অর্থাৎ এক অর্থে সিটি ব্যাংক নিয়ে) একটা ‘সস্তা’ ষড়যন্ত্র চলছে।”

সংবাদমাধ্যমের খবরে ভুল তথ্য তুলে ধরার দাবি করে মাসরুর লেখেন, ‘‘ইত্তেফাকের খবরে ওরা দেখেন সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের নামটা পর্যন্ত লিখতে পারেনি। লিখেছে: ‘ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত রুবেলের সঙ্গে পরীমনির গভীর সখ্যের বিষয়টি...।’ শওকত রুবেল নামের মানুষটা কে? এই নামে তো কেউ নেই।”

এসব লেখার ক্ষেত্রে তথ্য ভালোভাবে জেনে নেয়ার কথাও উল্লেখ করেন মাসরুর। এমনকি যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে, সে নামে ওই ব্যাংকে কোনো কর্মকর্তা নেই বলেও দাবি করেন মাসরুর।

নাম আসা ব্যক্তি ব্যাংক চেয়ারম্যানের ছোট ভাই জানিয়ে মাসরুরের দাবি, একটা গোষ্ঠী তার ক্ষতি করতেই পরিকল্পনা করে মিথ্যা ছড়াচ্ছে।

মাসরুর লেখেন, “ব্যক্তি স্বাধীনতার সঙ্গে নৈতিকতার প্রশ্নকে টেনে এনে আইনের আরও ‘ঊর্ধ্বেই’ বা ‘বাইরেই’ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দৈনন্দিনের বাছ-বিচারগুলোকে। এ রকম সমাজে অনেকের লাভ। কারণ আমরা সাধারণ মানুষেরা তখন ইতিহাসের ল্যাবরেটরিতে কাঁউ-কাঁউ করে বেড়ানো ইঁদুর হয়ে থেকে যাই। আমাদেরকে সেই ইঁদুর হওয়ার বিরুদ্ধে লড়তে হবে।”

তিনি লেখেন, ‘ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতি মুহূর্তের একটা ongoing work। এই রাষ্ট্র আমাদের স্বাধীনতাগুলো—স্বাধীনতার যে কাজটুকু অন্যের জন্য ক্ষতিকর না—এভাবে কেড়ে না নিক। বাস্তবেই অনেক ক্ষতিকর কিছু ঘটছে অনেক দিকে, অনেক অবিচার ও আর্তনাদের ময়লা উড়ছে অনেক অনেক কোনায়। সেদিকে চোখ থাকুক আমাদের।”

পোস্টের শেষে তিনি আবারও পরীমনির সঙ্গে নিজের কোনো ধরনের সম্পর্ক ছিল না দাবি করে বলেন, ‘কথা একটাই, আমি আমার মানবজীবনে এই নায়িকা বা মডেলদেরকে দেখিনি। তাদের সঙ্গে না দেখা জগতের ফোনের যে হ্যালো, সেটাও কোনো দিন বলিনি। তারা কারা তাও আমি জানতাম না বোট ক্লাব কাণ্ডের আগে।’

তিনি বলেন, “এখন তাহলে এক ব্যক্তির ওপরে, এক সাধারণ মানুষের ওপরে, এক লেখক ও কবির ওপরে, এক ‘কেউ-না এমন এক মানুষের ওপরে’ অবিচারের মাত্রাটা বুঝুন। বাকি বিচার এই সমাজের, সমাজই যেহেতু আছে বিচারকের ভূমিকায়।”

পরীমনির বনানীর বাসায় গত বুধবার অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে অভিযান বিপুলসংখ্যক মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কথা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার তার নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। ওই মামলার তদন্তভার পেয়েছে ডিবি।

এর আগে বোট ক্লাবের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কাজ করতে গিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে পরীমনির ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে ওঠে বলে জানায় পুলিশ। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও করেছে ডিএমপি।

মাদক মামলায় পরীমনির চার দিনের রিমান্ড শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার।

এ বিভাগের আরো খবর