সেই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বস্তাবন্দি অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পিবিআই।
এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পিবিআই জানিয়েছে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) সিরাজ আমীন নিউজবাংলাকে জানান, গত ৩ আগস্ট ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের পাশে বস্তার ভেতর মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
ওইদিনই পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা করে।
এরপর তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করে এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে শনিবার রাতের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করে।
প্রধান আসামির বরাত দিয়ে এসপি জানান, রং নাম্বারে ডায়াল থেকে মোবাইলের মাধ্যমে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তিনি হিন্দু হলেও নিজেকে মুসলমান যুবক ও বড় ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন।
- আরও পড়ুন: সড়কের পাশে তরুণীর বস্তাবন্দি মরদেহ
২ আগস্ট দুপুরে মেয়েটি নানিবাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করে। তারা গ্রেপ্তার আরেক আসামির বাড়ি যায়। সেখানে ঘনিষ্ঠতার সময় ছেলেটি মুসলমান নয় বলে জানতে পেরে মেয়েটি চিৎকার শুরু করে। এতে ছেলেটি তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এরপর তিন বন্ধুর সহযোগিতায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মেয়েটির বস্তাবন্দি মরদেহ নিয়ে গিয়ে ভূঞাপুর-তাড়াকান্দি সড়কের বীর বরুয়া এলাকায় ফেলে দেন।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে এখনও দিনদুনিয়ার হাবভাবই বুঝতে পারে নাই। তার আগেই ওরা মাইরা ফেলল। আমি অত কিছু বুঝিনা। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।’