ঝালকাঠিতে মাদ্রাসার ১০ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মুখ্য বিচারিক আদালতে তোলা হলে বিচারক এ এস এম তারেক শামস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কে এ খান হাফেজী মাদ্রাসার শিক্ষক।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, করোনাকালীন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কে এ খান হাফেজী মাদ্রাসা খোলা রেখে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছিলেন শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ।
শনিবার বেলা ৩টার দিকে ৯ থেকে ১০ বছর বয়সী ১৩ জন শিক্ষার্থী মাদ্রাসার ভেতরে খেলছিল।
তাদের কথার শব্দে মোহাম্মদ উল্লাহর ঘুম ভেঙে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসার একটি কক্ষের দরজা আটকে ১০ ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মারধরের পর ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কক্ষে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। মারধরের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতিও দেখান তিনি।
পরে মাগরিবের নামাজের সময় কৌশলে ৯ বছর বয়সী একটি শিশু পালিয়ে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে স্থানীয়দের বিষয়টি জানায়। শিশুটি পালিয়ে যাওয়ার পর শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. মোরশেদ খানকে ঘটনাটি জানিয়ে দ্রুত সব শিক্ষার্থীকে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
ঝালকাঠি সদরে মাদ্রাসাশিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত এক ছাত্র। ছবি: নিউজবাংলা
ঘটনাটি জানার পর পোনাবালিয়া বাজারের শতাধিক বাসিন্দা মাদ্রাসা ঘেরাও করে শিক্ষককে আটক করেন। পরে তাকে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা মারধরে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসা নেয়ার পর ৯ জন বাড়িতে চলে গেছে। এক জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।