সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে পরীমনির আয়-ব্যয় ও সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক।
দুদকের কমিশনার (তদন্ত ও অনুসন্ধান) ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান শনিবার নিউজবাংলাকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবার মতো পরীমনির সৌন্দর্য দেখে ঝাঁপায়ে পড়ব না। এটা দুদকের কাজও নয়।
‘কেউ যদি তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ করেন যে, সে কারও কাছ থেকে অবৈধভাবে এই টাকা নিয়েছে, গাড়ি-বাড়ি নিয়েছে, এমনকি আপনি অভিযোগ করলেও আমরা তদন্ত করে দেখতে পারি।’
দুদকের এই কমিশনার বলেন, ‘দুদকের কাজের কিছু নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে। নীতি আছে। দুদক সারা দেশের সবকিছু নিয়ে কাজ করবে না। এখন পরীমনি বিষয়টিও আমাদের কাছে আসতেছে।
‘আমরা তো জানি, আপনাদের কাছ থেকেই জানি, তারা রিমান্ডে গিয়ে কী বলেন। আবার বাইরে এসে কী বলেন। হয়তো আপনারা কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে সঠিকটা সব সময় সঠিকভাবে লিখতে পারেন না।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আপনাদের মাধ্যমে পরীমনি সম্পর্কে যা জেনেছি তার সবই ক্রিমিনাল অফেন্স। এ জন্য পুলিশ আছে, র্যাব আছে, তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
‘আমাদের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ করতে হবে সে কী অপরাধ করেছে, যা আমাদের তফসিলভুক্ত। গড়ে শুধু এই অবৈধ ব্যবসা, আয়ের অভিযোগ করলে হবে না। তাহলে ১৭ কোটি মানুষের দেশে কম হলেও ১৭ লাখ এমন অভিযোগ মিলবে।’
ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমনির বাসায় ৪ আগস্ট অভিযান চালায় র্যাব। সেদিন সন্ধ্যায় তার বাসা থেকে ব্যাপক পরিমাণ মাদক জব্দ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে র্যাব। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার তাকে বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তার নামে মাদক আইনে মামলা করে র্যাব। রাতেই পরীমনিকে আদালতে নেয় পুলিশ। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে চার দিনের হেফাজতে নিয়ে পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয় আদালত।
পরে মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।