পরীমনির সঙ্গে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয় সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে, সে বিষয়ে তদন্ত করবে অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক তাদের সম্পর্ক বিষয়ের অভিযোগ তদন্ত করার কথা জানান।
সিআইডি কার্যালয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এক ব্রিফিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ওমর ফারুক বলেন, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যদি কোনো মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও হন তাকেও আমরা প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করব। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে যা যা করা প্রয়োজন, আমরা সবাই ব্যবস্থা নেব।
‘এসব মামলার সঙ্গে যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই জড়িত থাকুক না কেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সকলকে আমরা আইনের আওতায় আনব।’
ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পাঁচটি মামলা এবং শুক্রবার আরও দুটি মামলার তদন্তভার আমাদের ওপর ন্যস্ত হয়।
‘এরইমধ্যেই আমরা মামলার সব নথি বুঝে পেয়েছি। সেই সাথে অধিকাংশ আসামিকেও বুঝে পেয়েছি। আসামিদের মধ্যে পরীমনি, নজরুল ইসলাম রাজ, পিয়াসা এবং মৌকে আমরা বুঝে পেয়েছি। হেলেনা জাহাঙ্গীর ও মিশু হাসান পুলিশের অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় তাদেরকে এখনো বুঝে পাইনি। আশা করছি খুব দ্রুতই তারা আমাদের কাছে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘আসামি ও মামলার নথি পাবার পর থেকেই আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি। মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করতে গেলে আমাদের কিছু সময় প্রয়োজন। তবে তদন্তে আমরা সব কিছুকেই গুরুত্ব দেব।’
পরীমনির বাসায় ৪ আগস্ট বিকেল পৌনে ৫টার দিকে অভিযান শুরু করে র্যাব। তার আগে ফেসবুকে লাইভে এসে পরীমনি অভিযোগ করেন, কে বা কারা তার বাসার দরজায় ধাক্কাধাক্কি করছে।
পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ সন্ধ্যায় তাকে আটক করে র্যাবের প্রধান কার্যালয়ে নেয়া হয়। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে শুনানি শেষ তাকে জ্ঞিাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড আদেশ দেয় আদালত।
এরই মধ্যে তার মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে সিআইডিতে।