পিরোজপুরে মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে পাড়েরহাট আবাসন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল মাঝিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আসাদুলকে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির।
এর আগে পাড়েরহাট আবাসনের বাসিন্দা হেলাল মুন্সি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইন্দুরকানী থানায় পাঁচজনের বিরদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন।
২৬ জুলাই ‘উপহারের ঘর বরাদ্দে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ’ শিরোনামে নিউজবাংলায় প্রতিবেদন প্রচার হলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে বরাদ্দ বাতিলসহ মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ করেন আবাসনের বাসিন্দারা।
আবাসনের কয়েকটি পরিবার জানায়, ইউপি সদস্য মহসিন ওই আবাসন প্রকল্পের ঘর দেয়ার কথা বলে জনপ্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। টাকা দিতে না পারলে তাদের ঘর দেননি।
এ নিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মহসিন হাওলাদারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন ওই আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা।
মহসিন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘সামনে ইউপি নির্বাচন। তাই কেউ কেউ আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এমন অভিযোগ করছেন।’
এ বিষয়ে ওসি হুমায়ুন কবির জানান, আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আসাদুল মাঝিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তবে গ্রেপ্তার আসাদুলের পরিবারের দাবি, চাঁদাবাজির মূল আসামি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহসিন হাওলাদারকে আটক করা হয়নি। এমনকি মামলার এজাহারেও তার নাম নেই।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় লোকজন জানান, ওই আবাসনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল মাঝি আগে মহসিনের লোক ছিলেন। তখন মহসিনের পক্ষ হয়ে আসাদুল আবাসনে ঘর দেয়ার নামে চাঁদাবাজি করতেন। সম্প্রতি আসাদুলের সঙ্গে মহসিনের সম্পর্ক ছিন্ন হয়।