রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে মাইক্রোবাসের চাপায় ট্রাফিক পুলিশ হেলালের নিহত হওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার চালক বিল্লাল মুন্সিকে তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আশেক ইমাম এ আদেশ দেন।
এদিন আসামি বিল্লালকে আদালতে হাজির করে সাত দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজানুর রহমান।
আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
আবেদনে আসামির আইনজীবী বলেন, ‘গাড়ি চালাতে গেলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কেউ ইচ্ছা করে কেন কাউকে চাপা দিতে যাবেন? চলন্ত গাড়ির সামনে দুর্ঘটনার শিকার কর্তব্যরত ট্রাফিক সদস্য হঠাৎ করে চলে আসেন, যা আসামি বুঝে উঠতে পারেন নাই।
‘এই দুর্ঘটনায় চালক আসামির কোনো প্রকার মানসিক ইচ্ছা বা হাত ছিল না। রিমান্ড হওয়ার মত কোনো আইনি উপাদান নেই। আসামির রিমান্ড আবেদন বাতিল করে যেকোনো শর্তে জামিন দেয়া হোক।’
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিল্লাল মুন্সিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
রোববার রাতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে বিল্লাল মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের একটি টিম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কনস্টেবল হেলাল প্রতিদিনের মতো ডিউটি করছিলেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় হাসপাতাল থেকে গাড়ি বের করার জন্য সিগন্যাল দেন। এসময় একটি সিলভার কালারের মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দেয়। হেলাল পড়ে গেলে গাড়িটি তার উপর উঠে গেলে গুরুতর আহত হন তিনি।
হেলালকে সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় হেলালের শ্যালক ইছাম উদ্দিন শেরেবাংলা নগর থানায় বাদি হয়ে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।
কনস্টেবল হেলালের বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায়।