বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ বক্সে বোমা হামলাকারী দুই ‘জঙ্গি’ গ্রেপ্তার

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২১ ১৪:১৬

পুলিশ বলছে, ফোরকান নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনলাইনে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন গ্রেপ্তার শফিকুর ও খালিদ। আগেই গ্রেপ্তার জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে বসে পুলিশ বক্সে হামলার জন্য বোমা তৈরি করেছিলেন তারা।

নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড ট্রাফিক পুলিশ বক্সে গত ১৬ মে বোমা হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। বলা হচ্ছে, গ্রেপ্তারকৃতরা নব্য জেএমবির সদস্য।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম লাল রঙের বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ, তিনটি বিউটেন গ্যাসের ক্যান, এক সেট রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, চার প্যাকেট ছোট সাইজের বিয়ারিং বল, দশটি ক্রিসমাস বাল্ব, দুটি কালো রঙের ইলেকট্রিক টেপ, একটি আইইডি বিস্ফোরক তৈরির ম্যানুয়াল, হামলায় ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রেপ্তার দুজনের নাম মো. শফিকুর রহমান হৃদয় ওরফে বাইতুল্লাহ মেহসুদ ওরফে ক্যাপ্টেন খাত্তাব ও মো. খালিদ হাসান ভূঁইয়া। তারা দুজনই জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্য।

ব্রিফিংয়ে সিটিটিসির প্রধান ও ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান জানান, ফোরকান নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকেই অনলাইনে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন শফিকুর ও খালিদ। আগেই গ্রেপ্তার জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে বসে পুলিশ বক্সে হামলার জন্য বোমা তৈরি করেছিলেন তারা।

পুলিশ বক্সে হামলার সন্দেহে গ্রেপ্তার দুই যুবক। পুলিশ বলছে, তারা জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত। ছবি: নিউজবাংলা

আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার নোয়াগাঁও এলাকা থেকে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য এবং বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর মো. শফিকুর ও মো. খালিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।

শফিকুর ও খালিদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, নব্য জেএমবির আমির মাহাদী হাসান জন ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালির নির্দেশে গত ১৬ মে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড ট্রাফিক বক্সে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালান তারা। ত্রুটিপূর্ণ রিমোটের কারণে কয়েকবার চেষ্টা করেও বোমাটি বিস্ফোরণে ব্যর্থ হয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এবং রিমোটটি রাস্তার পাশে ফেলে চলে যান। পরবর্তীতে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।

পুলিশ বলছে, মাহাদী হাসান জনের নেতৃত্বে শফিকুর নব্য জেএমবির সামরিক শাখার ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। হামলায় ব্যবহৃত আইইডি বিস্ফোরক গ্রেপ্তার শফিকুর ও খালিদ হাসান বোমা তৈরির ম্যানুয়াল ও ভিডিও দেখে প্রশিক্ষক ফোরকানের তত্ত্বাবধানে আব্দুল্লাহ আল মামুনের কক্ষে তৈরি করে।

ব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার নব্য জেএমবির সদস্যরা অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে নাশকতা চালানো এবং পুলিশকে হামলার লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছিলেন। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পলাতকদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত আছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘বর্তমানে জঙ্গি হামলার কোনো হুমকি নেই৷ জঙ্গি সদস্যরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আনলাইনে তারা একটিভ রয়েছে। তবে জঙ্গি কার্যক্রম বাড়েনি। আমরাও জঙ্গিদের মনিটরিং করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর