বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেলা আ. লীগের প্রচার সম্পাদকের বিরুদ্ধে সেক্রেটারির মামলা

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২১ ২১:৫৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রত্যক্ষভাবে এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার অনেকে পরোক্ষভাবে জড়িত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে প্রধান আসামি করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামকে।

শনিবার রাতে আল মামুন সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় বলা হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। সভায় বঙ্গবন্ধুর খুনি তাহের ঠাকুর এবং তার সুবিধাভোগী আত্মীয়দের সমালোচনা করেন আল মামুন সরকার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে মুঠোফোনে তাহের ঠাকুরের বেয়াই সৈয়দ নজরুল ইসলাম অকথ্য ভাষায় আল মামুনকে গালিগালাজ করেন।

পরের দিন থেকে নজরুল ইসলাম ধারাবাহিকভাবে নিজের ফেসবুক আইডিতে আল মামুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও চরম মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়ে আসছেন।

এসব ঘটনায় জুনে আল মামুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

গত ২৫ জুলাই নজরুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে আল মামুনের শ্বশুর প্রয়াত ফরিদ উদ্দিন আহাম্মদ সম্পর্কে অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করেন। পাশাপাশি তার শ্বশুর বাড়িটিকে বঙ্গবন্ধুর খুনী শাহরিয়ারের বাড়ি হিসেবে উল্লেখ করেন।

গত ৩০ জুলাই বিকেলে নজরুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে আল মামুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্যসহ মুন্সেফপাড়ার বসতবাড়িটি যুদ্ধাপরাধী ও কুমিল্লা জেলা জামায়াতের আমির মৃত হাবিবুর রহমানের উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেন। তার সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকে ওই স্ট্যাটাসে সহমত পোষণ করে মন্তব্য করেছেন।

আল মামুনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নজরুল ইসলাম প্রত্যক্ষভাবে এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার অনেকে পরোক্ষভাবে জড়িত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলায় আরও বলা হয়, আগুনে আল মামুনের বাড়ির চারটি কক্ষের ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকার আসবাব পুড়ে গেছে।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতালে সহিংসতার সময় আল মামুনের মুন্সেফপাড়ার বাসভবন, বাগানবাড়ি এলাকার শ্বশুরবাড়ি, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে তান্ডব চালায় হেফাজত কর্মী-সমর্থকেরা।

শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে আল মামুনের মুন্সেফপাড়ার বাড়িতে আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনে।

আল-মামুন জানান, দুপুরে বাসার পূর্ব দিকের একটি কক্ষে আগুন লাগে। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাড়িতে।

তিনি আরও জানান, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের জেলাজুড়ে অগ্নিকাণ্ড ও তাণ্ডবের সময় পেট্রল ও গানপাউডার ছিটিয়ে তার বাসভবনে আগুন দেয়। এ ঘটনায় বাসভবনটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

সম্প্রতি তিনি বাড়িটির সংস্কারকাজ করান। তবে বাড়িতে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও গ্যাস-সংযোগ দেয়ার কাজ বাকি ছিল।

জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি নাশকতার ঘটনা। জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছিলেন। শুক্রবার রাতেও তিনি এই বাড়ির জায়গা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।’

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মোনায়েম বিল্লাহ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বাইরে থেকে বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।’

ঘটনার পর বাড়িটি পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি-অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মো. শাহীন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম।

এসপি মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কি এই কাজ করতে পারি? আমি সব সময়ই নাশকতার বিরুদ্ধে। যারা নাশকতা করেছে তদন্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর