প্রায় ছয় ঘণ্টা পর রংপুর থেকে ঢাকা যেতে পরিবহন সুবিধা পেয়েছে রংপুরের মডার্ন মোড়ে আন্দোলনরত পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
স্থানীয় প্রশাসন শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকায় যেতে বিভিন্ন দূরপাল্লার বাস ছেড়ে দেয়ার মৌখিক অনুমতি দেয়। এতে শ্রমিকরা বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানে করে রংপুর থেকে ঢাকা রওনা হয়েছেন।
১ আগস্ট থেকে কারখানা খোলার সংবাদে রংপুর অঞ্চলের পোশাকশ্রমিকরা শনিবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর মডার্ন মোড়ে অবস্থান নিতে থাকেন। মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে সেখানে হাজার হাজার শ্রমিক জড়ো হন। চাকরি হারানোর শঙ্কায় ঢাকায় ফেরার জন্য পরিবহনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নেন তারা।
এ সময় লকডাউনের আওতামুক্ত এমন অনেক পরিবহন ছাড়াও সেনাবাহিনীর কয়েকটি গাড়িও আটকে পড়ে।
পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কয়েক দফা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললে বিকেল চারটা থেকে শ্রমিকরা ঢাকায় যেতে শুরু করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রমিকরা দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানে বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় রওনা দিয়েছেন। যারা বাসে যাচ্ছেন তাদের জনপ্রতি ভাড়া গুনতে হচ্ছে দুই হাজার টাকা। আর ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহনে যারা যাচ্ছেন, তাদের ভাড়া ১ হাজার টাকা।
ট্রাকের চালক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘কী করব স্যার, ঘাটে ঘাটে তো মেলা টাকা দিতে হবে। এই জন্য তো ১ হাজার করি নিয়েছি।’
মিলন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘করোনার জন্য গার্মেন্টস বন্ধ করি দেইল। কোনোমতে কষ্ট করি বাড়ি আলছি। এখন বাস-ট্রেন খুলি না দিয়া গার্মেন্টস খুলি দেছে। হামরা কি উড়ি উড়ি ঢাকা যামো? যাওয়াই নাগবে, এক হাজার হোক আর দুই হাজার হোক।’
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থেকে আসা মাইদুল ইসলাম সাভারে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
তিনি বলেন, ‘অফিস থাকি মেসেজ দিছে রোববার গার্মেন্টস খোলা হবে। খবরটা শুনি চিন্তাত পড়ি যাই। বাস খোলা নাই। ঢাকা যামো কেমন করি? আইজ সকাল ৯টা থাকি বসি আছি। ট্রাকও পাচ্ছি না। চাকরিটা বুঝি বাচপ্যার পাই না।’
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার আলতাফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, শ্রমিকরা ঢাকায় যাবেন বলে এখানে অবস্থান নিয়েছেন। তারা মালিকদের ম্যাসেজ দেখাচ্ছিলেন। সড়কে বিআরটিসিসহ বিভিন্ন পরিবহন ছিল, সেগুলো ভাড়া করে তারা ঢাকার পথে ছুটছেন।