কঠোর লকডাউনে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
কচাকাটা থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান সোমবার দুপুরে এ মামলা করেন।
সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে কচাকাটা থানায় করা মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দা জান্নাত আরা।
রোববার সন্ধ্যায় নাগেশ্বরীর কচাকাটা বাজারে দুই পুলিশকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে।
যে দুই পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন কচাকাটা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বুলবুল ইসলাম ও কনস্টেবল মো. আজমাইন।
এএসআই বুলবুল বলেন, ‘লকডাউনে হাটবাজারের জন্য বেঁধে দেয়া সময়ের পরও কচাকাটা বাজারের মানুষের সমাগম দেখি। তখন জটলা ছত্রভঙ্গ করে মাস্কবিহীন কয়েকজনকে মাস্ক পরতে বলায় তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়।
‘এলাকার লোকজন আমাদের ধাওয়া করে। জনরোষ থেকে বাঁচতে কনস্টবেল আজমাইন থানার দিকে চলে যান। আর আমি কচাকাটা বালিকা বিদ্যালয় সড়কের নিজ ভাড়া বাসায় চলে আসি। এ সময় স্থানীয় লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে ওই বাসার সামনে অবস্থান নেয়। পরে কচাকাটা থানার ওসিসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে আমাকে হেফাজতে নেয়।’
তবে বাজারের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এএসআই অযথা তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছেন। এ জন্য তাকে ধাওয়া করা হয়েছে।
এসপি সৈয়দা জান্নাত আরা সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যান এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি জানান, কচাকাটা হাটে মানুষের সমাগম ঠেকাতে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিল। তখন কিছু লোক গুজব ছড়িয়ে দেয়, হাটে পুলিশ মারপিট করছে। এতে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এসপি।