অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার মামলায় কর্ণফুলী গ্যাসের টেকনিশিয়ানের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত সোমবার বেলা ১২টার দিকে দিদারুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফখরুদ্দীন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ সেটার বিরোধিতা করেছে। আদালত জামিন আবেদন গ্রহণ করেনি।
এর আগে গত ১১ জুন কর্ণফুলী গ্যাসের টেকনিশিয়ান দিদারুল আলমকে গ্রেপ্তার করে দুদক। এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ দেয়ার একটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ১০ জুন মামলা করেন দুদক চট্টগ্রামের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন।
মামলার আসামিরা হলেন কর্ণফুলী গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) সরোয়ার হোসেন ও সাবেক ব্যবস্থাপক মুজিবুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, টেকনিশিয়ান দিদারুল আলম এবং সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হালিশহরে এমএ সালাম নামে এক ব্যক্তির নামে ১৮টি দ্বৈত চুলা বরাদ্দ ছিল। সেই সংযোগ থেকে ১২টি চুলা মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ভুয়া চুক্তিনামা করে চান্দগাঁও সানোয়ারা আবাসিক এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু এক গ্রাহকের নামে বরাদ্দ সংযোগ অন্য গ্রাহককে দেয়ার বিধান নেই।
২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকলেও সানোয়ারা আবাসিক এলাকায় মুজিবুর রহমানের নামে আরও ১০টি সংযোগ দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ২ মার্চ থেকে পরের বছরের ২ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব সংযোগ দেয়া হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এরই মধ্যে অবৈধ গ্যাস সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করেছে কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ।