বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মোর বেটি বাচপের নয়, নাতনি কোনাও গেইল’

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২১ ১৪:৪৫

রংপুর মেডিক্যালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট জিয়াউর রহমান জানান, যারা এখানে আছেন তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসুবপুর গ্রামের বৃদ্ধ স্বামী চান মিয়া। পেটের নানা রোগের চিকিৎসা করাতে সাত দিন আগে এসেছিলেন রংপুরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে। চিকিৎসা শেষে রোববার সকালে যোয়ানা নামের একটি বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী জরিনা বেগম, মেয়ে সেতারা এবং সেতারার ৯ বছর বয়সী মেয়ে বাবলি।

রংপুরের মিঠাপুকুরের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ চান মিয়া আর জরিনা বেগম অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও নাতনি বাবলীকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পাবলেন না। আর গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন বাবলীর মা সেতারা বেগম।

সেতারার মা জরিনা বেগম বলেন, ‘নগত আসি গাড়িত চননোং। গাড়ি ছাড়ল। ছাড়ার পর আরেকখান গাড়ি আইল। আসি মনে করো সামনের দিকে হিড়িস করি নাগিয়ে কাইচ টাইস ভাঙ্গিয়ে গাড়িত তলাত পড়ে গেনুং। কেংকরি পড়নং কবা পারব না।’

জরিনা আরও বলেন, ‘পরে দেকোং মুই, তোমার চাচা পানির নিচোত। কাই কাইবেন টানি তুললি। পরে হাসপাতালোত আসনোং। মোর বেটি বাচপের নোয়ায়, নাতনি কোনাও গেইল।’

বৃদ্ধ চান মিয়া বলেন, ‘মডার্ননোত থাকি গাড়িত চননুং। যায়া হিড়িস করি উটিল। আর কিছু কবা পাই না।’

বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক ইয়ামিন উদ দৌলা জানান, যোয়ানা পরিবহন কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে বলদিপুকুর এলাকায় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সেলফি পরিবহনের সঙ্গে যোয়ানা পরিবহনের সংঘর্ষ হয়।

রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাবলীর মা সেতারা বেগম গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। ছবি: নিউজবাংলা

এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ পাঁচজন নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ছয়জন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পেরেছে পুলিশ। তারা হলেন সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রামের বাবু মিয়ার ৯ বছর বয়সী মেয়ে বাবলী, পীরগঞ্জের চতরা এলাকার আবদুল মতিন ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের আহসান হাবীব। অন্য দুজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

রংপুর মেডিক্যালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের জুনিয়ার কনসালট্যান্ট জিয়াউর রহমান জানান, যারা এখানে আছেন তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মিঠাপুকুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নেয়া হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর