ফেনীতে গরু ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফেনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার দুপুর ২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশক্রমে পৌর আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ ও অনৈতিক কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে ফেনী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সকল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকেও স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে আবুল কালামকে।
এদিকে, এই মামলার আসামি নাঈম হাসান শনিবার বিকেলে জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে নাঈম হাসানকে সুলতানপুরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আর এই মামলায় আরেক আসামি মো. সাগরকে শুক্রবার সকালে সুলতানপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ১০টি গরুবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ে শাহ জালাল নামের ওই গরু ব্যবসায়ী ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ রোডের সাহেববাড়ি এলাকায় আত্মীয় আল আমিনের বাসায় আসেন। গত বছরও তিনি ওই বাসায় থেকেই কোরবানির ঈদে গরুর ব্যবসা করেন।
এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর ও তার সহযোগীরা গরুবোঝাই ট্রাক লুটের চেষ্টা করেন। এতে গরু ব্যবসায়ী ও তার সহযোগীরা বাধা দেন। পরে শাহ জালালকে গুলি করে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় নিহত শাহ জালালের চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় কাউন্সিলর কালাম, তার সহযোগী রাজু ও নাঈমের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
নিহত শাহজালালের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার সাগুলি গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল জব্বার।