নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও বন্দরের জঙ্গি আস্তানা থেকে তিনটি শক্তিশালী আইইডি এবং বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
প্রতিটি মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আর অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৯ জনকে।
সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম নিউজবাংলাকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এসপি জানান, সোমবার বিকেলে আড়াইহাজার ও বন্দর থানায় মামলা দুটি করেন কাউন্টার টেরোরিজমের উপপরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। মামলায় এজহারনামীয় ছয় আসামির মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ (ডিএমপি) ও মামলা করেছে। তাদের নতুন দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদালতে তোলা হবে।
আড়াইহাজার থানায় করা মামলায় আসামি করা হয়েছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বাবুপাড়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন বা ডেভিড কিলার, আড়াইহাজারের নোয়াগাঁও এলাকার বায়তুল্লাহ মেহসুদ ও আড়াইহাজারের আফনানকে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে পাঁচজনকে।
বন্দর থানার মামলায় আসামি করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের কাউছার মিয়া বা ওসামা, লক্ষ্মীপুর সদরের সাইফুল ইসলাম মারুফ এবং একই এলাকার মো. রুম্মান হোসেন ফাহাদকে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে চারজনকে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছে সিটিটিসি।
বন্দর থানার ওসি দিপক চন্দ্র সাহা জানান, সাত আসামির মধ্যে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে সিটিটিসির পাশাপাশি পুলিশও চেষ্টা করছে।
এর আগে রোববার বিকেলে যাত্রাবাড়ী থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলার এবং রাতে কেরানীগঞ্জ থেকে কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামাকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জের জঙ্গি আস্তানা দুটি।
সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল দুই জঙ্গির পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন।