নব্য জেএমবির সামরিক শাখার ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার সাব্বির আহম্মেদের চাচার বাড়ি জামালপুর থেকে ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) কাউন্টার টেররিজম বিভাগ সাব্বিরকে নিয়ে এই অভিযান চালায়।
সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রহমত উল্যাহ চৌধুরী শনিবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার সাব্বিরকে নিয়ে তার চাচা মামুনের বিভিন্ন স্থাপনায় অভিযান চালিয়ে আইইডি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। তার অধীনে থাকা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনটির অন্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সাব্বিরের চাচি রিজিয়া খাতুন নিউজবাংলাকে জানান, পুলিশের চার-পাঁচ সদস্যের একটি দল সাব্বিরকে নিয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। ‘কী কী’ যেন উদ্ধার করেছে।
তিনি বলেন, ‘এই ছেলে যে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত, সেটা আগে জানতে পারলে এখানে জায়গা দিতাম না। প্রেম করে বিয়ে করার কারণে ওর বাবাকে অনেক আগেই তাড়িয়ে দেয়া হয়। ওরা শ্রীবরদী এলাকায় জায়গা কিনে সেখানেই বাড়ি করে থাকে।
‘দাদিকে দেখতে মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসত সাব্বির। তখন তাকে ভালোমন্দ রান্না করে খাইয়াইতাম। এমন কাজে জড়িত- এ তথ্য পাইলে তো তাকে কখনোই আসতে দিতাম না।’
গত বুধবার রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে দুই সঙ্গীসহ সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যম চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সংস্থাটি।
সিটিটিসির ভাষ্য, সাব্বির নব্য জেএমবির সামরিক শাখার ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার। সংগঠনটির আইইডি তৈরির অন্যতম কারিগর। তার অধীনে অন্তত ২০ জন্য সদস্য রয়েছেন। তুরস্কে অবস্থানরত নব্য জেএমবির আমির তাদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন। পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহসহ সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
স্বজনরা জানিয়েছেন, টাঙ্গাইলের সরকারি করটিয়া সা’দত কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ২৪ বছর বয়সী সাব্বির।
তার বড় ভাই শাহেদ নিউজবাংলাকে জানান, গত ২২ জুন সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে জামালপুর যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন তিনি। দুই দিন পর এনায়েতপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। ২৬ জুন সাব্বিরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে তার স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ জেলা আদালতে একটি অপহরণ মামলা করা হয়, যার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।