বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাইভে এসে ক্ষমা চাইলেন ‘পুচি ফ্যামিলি’র তাপসী

  •    
  • ৪ জুলাই, ২০২১ ২৩:৫৪

রোববার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে তাপসী ক্ষমা চান। তিনি বলেন, ক্লিপগুলো তিনি অনিচ্ছাকৃত ও অসাবধানতাবশত আপ করেন। এই ক্ষমা চাওয়ার পর ফেসবুক লাইভে এসেছেন তাপসীর সমালোচকরাও।

‘পুচি ফ্যামিলি’ নামের ফেসবুক পেজ ও ‘পুচি ফ্যামিলি অরিজিন’ নামের ইউটিউব চ্যানেলের কিছু ক্লিপ দর্শক-অনুসারীদের কষ্ট দিয়ে থাকতে পারে স্বীকার করে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তাপসী দাশ।

রোববার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ক্লিপগুলো অনিচ্ছাকৃত ও অসাবধানতাবশত আপলোড করেছেন।

তাপসী দাশের এই ক্ষমা চাওয়ার পর ফেসবুক লাইভে এসেছেন তার সমালোচকরাও। তাপসী দাশ ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলে মামলা কেন করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

তাপসী দাশ লাইভের শিরোনামে বলেন, ‘আমার অনিচ্ছাকৃত ও অসতর্কতাবশত ভুল হয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’

লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি তাপসী, পুচি ফ্যামিলি ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেল আমি পরিচালনা করি। এই পেইজের বয়স খুব একটা বেশি না। এই অল্প সময়ের চলার পথে আমার অনিচ্ছাকৃত ও অসতর্কতাবশত কিছু ভুলত্রুটি হয়ে থাকতে পারে, যা হয়তো কারও খারাপ লেগে থাকতে পারে।

‘আমি আমার অনিচ্ছাকৃত ও অসতর্কতাবশত ভুলত্রুটির জন্যে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের কাছে আমার একান্ত আবেদন, আপনারা আমার অনিচ্ছাকৃত ও অসতর্কতাবশত ভুলগুলোকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং ক্ষমা করবেন।’

তাসপী দাশ বলেন, ‘আপনারা আমার ভিউয়ার। আপনারা আমাকে শিখাবেন এবং আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন। কারণ আপনাদের মতো আমিও একজন মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল করতে পারে। আমি ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকব, যাতে আমার পরবর্তী কন্টেন্ট/ভিডিওগুলোতে ভুলত্রুটি এড়ানো যায়।

‘তা ছাড়া আমার কোনো কন্টেন্ট/ভিডিও আপনাদের যদি খারাপ লাগে বা নতুন কোনো কন্টেন্ট/ভিডিও তৈরিতে সাজেশন দেয়ার থাকলে সেগুলো আমাকে ইমেইল করে জানান। আমি সেগুলো শুধরে নিব এবং আপনাদের সাজেশন অনুযায়ী কন্টেন্ট/ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করব।’

পুচি ফ্যামিলির পুচি

সবশেষে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ক্ষমাসুন্দর ও সহৃদয় সহযোগিতা কামনা করছি।’

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর ডিওএইচএসের বাসিন্দা পার্থপ্রতিম চৌধুরীর স্ত্রী তাপসী দাশ ফেসবুকে ‘পুচি ফ্যামিলি’ পেজ ও ইউটিউবে ‘পুচি ফ্যামিলি অরিজিনাল’ চ্যানেলের কর্ণধার।

তার বিরুদ্ধে বিড়াল আটকে রাখা ও বিড়াল নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি রাজধানীর পল্লবী, গুলশান, উত্তরার পাশাপাশি সাভার থানায় বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন কয়েকজন বিড়ালপ্রেমী। একই অভিযোগ এনে তাপসীর বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশও পাঠান তারা।

এ ছাড়া তার বিড়াল পালন পদ্ধতি, বিড়াল বিক্রি, অপচিকিৎসাসহ বিড়াল নির্যাতনের নানা অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা করেন অনেকেই।

তাদের অভিযোগ, তাপসীর বাসায় যেসব বিড়াল রয়েছে, তার কোনোটিই তার নিজের নয়। এমনকি পুচি নামে যে বিড়ালটি রয়েছে, সেটিও জান্নাতি নামে এক বিড়ালপ্রেমীর। এসব বিড়ালের কোনোটির গলা, কোনোটির লেজ ধরে টান মারার ভিডিও দেখে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তাপসীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হিসেবে তারা বলছেন, পুচি ফ্যামিলির ফেসবুক পেজে ফলোয়ার প্রায় ৯ লাখ। ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার আছে ১ লাখ ৪০ হাজার। এসব ফলোয়ারকে ভুল তথ্য দিয়ে বিড়ালের প্রতি নিষ্ঠুরতা শেখাচ্ছেন তাপসী দাশ।

তাপসীর নিষ্ঠুরতার উদাহরণ দিতে গিয়ে নিউজবাংলাকে তারা বলেন, এক বিড়ালের মূত্র মেশানো পানি আরেক বিড়ালকে পান করানো হয়। এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর। শুধু ভিডিও বানানোর জন্য তিনি চরম অস্বাস্থ্যকর ও নির্মমতার আশ্রয় নিয়ে থাকেন।

অভিযোগকারীদের ভাষ্য, তাপসী দাশ মাছের নাড়িভুঁড়ি পরিষ্কার না করে কেবল সেদ্ধ করে বিড়ালকে খাওয়ান। এভাবে খাওয়াতে উৎসাহ দেন অনুসারীদের। এতে বিড়ালের বদহজম, ডায়রিয়া ও পেটে ক্রিমি জন্ম নেয়ার শঙ্কা থাকে।

এ ছাড়া তার অনেক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি প্রায়ই বিড়ালের ছোট ছোট বাচ্চার লেজ বা গলা ধরে টান মারেন। এতে ছানাদের মেরুদণ্ড থেকে লেজ আলাদা হয়ে যেতে পারে। সেটা জোড়া লাগানোর চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। ফলে বিড়াল সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।

বিড়ালপ্রেমীদের অভিযোগ, তাপসীর দেখাদেখি অনুসারীরাও বিভিন্ন বিষয় শিখছেন এবং বিড়ালের ওপর নিষ্ঠুর আচরণ করছেন। এসবের প্রমাণও আছে। তার ভিডিওতে ক্রমাগত মেটিংকে (মিলন) উৎসাহ দেয়া হয়। কীভাবে মেটিং করাতে হয় তার প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকেন তিনি। তবে টানা মেটিংয়ের ফলে মরণব্যাধি হওয়ার শঙ্কা থাকে বিড়ালের।

তার বাসা থেকে বিড়ালগুলোকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় রাখার দাবিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে চিঠিও দিয়েছেন তারা। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাপসীর বিরুদ্ধে সরব হন অনেক বিড়ালপ্রেমী।

এরপরই তাপসী দাশ ১৫ জন বিড়ালপ্রেমী ও তিনটি ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর