ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগে বড় ভাই ১২ বছরের সৌরভের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের ঘটনায় দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছে হাইকোর্ট।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন কুমার (সিআইডি) ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. মনসুর আলীকে (পিবিআই) নথিসহ আগামী ৩ আগস্ট আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ। এ সময় আদালতে যুক্ত ছিলেন শিশু সৌরভসহ তার মা ও বাবা।
‘পুলিশের ভুলে ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাই হত্যার দায়’ শিরোনামে একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শিশির মনির।
গত ২১ জুন এ বিষয়ে শুনানি করে আদালত ঘটনা সত্য হলে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন। পরে ২৯ জুন বিষয়টি শুনানির জন্য তারিখ রাখেন। শুনানি শেষে দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করল আদালত।
পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে ১২ বছর বয়সী বড় ভাইকে। ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট বগুড়ার কাটাখালি গ্রামের একটি পাট ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় মহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগের মরদেহ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় সোহাগের বড় ভাই সৌরভকে। জোর করে হত্যার স্বীকারোক্তিও নেয়া হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ মামলায় এখন বাড়ি ছাড়া পুরো পরিবার। এদিকে সন্তান হত্যা এবং আরেক সন্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যার মামলার অভিযোগ থেকে রক্ষা করতে ধারে ধারে ঘুরে কোনো কূল সহায়তা না পেয়ে দিশাহারা পরিবারটি।