রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের পাশে ৭৯ আউটার সার্কুলার রোডের তিন তলা ‘মগবাজার প্লাজা’ ভেঙে ফেলার তাগিদ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীর পরিচালক (প্রশাসন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেছেন, বিস্ফোরণের ব্যাপকতার কারণে ভবনটি মেরামত করার সুযোগ নেই।
মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করছেন জিল্লুর।
তিনি বলেন, ‘ভবনটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী। এমন একটি অবস্থায় আছে, যেকোনো সময় ভবনটি ধসে যেতে পারে। ভবনটি এক তলা যেহেতু, পরে আবার দুটি ফ্লোর রয়েছে, বিস্ফোরণের ব্যাপকতার কারণে যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে।
‘এলাকাবাসীসহ সবার প্রতি আহ্বান থাকবে, ভবনটিতে কেউ যেন না ঢোকে।’
ভবন নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ভবনটি আর ব্যবহার করা যাবে না। মালিককে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি কী করবেন। এই ভবনটি রিপেয়ার করার কোনো সুযোগ নেই। একেবারে ভেঙে ফেলতে হবে।’
ভবনে গ্যাসের উপস্থিতি কী পরিমাণ পাওয়া গেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘তদন্তের পর ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।’
‘তদন্ত কমিটির কাজ শুরু’
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটির কাজ শুরু হয়েছে। আজ প্রথম দিন। রেস্টুরেন্টে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছি। তদন্ত যখন একটু অগ্রসর হবে, এখন এ বিষয়ে জানা যাবে। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।
‘এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কিছুটা সময় লাগবে, আলামত সংগ্রহ করছি। ভবনের মালিক থেকে শুরু করে ভবনে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলছি।’
মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকার আড়ংয়ের শোরুম ও রাশমনো হাসপাতালের উল্টো দিকের মূল সড়ক লাগোয়া একটি ভবনে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণ হয়। এতে মৃত্যু হয় ছয়জনের। আহত হয় ৫০ জনের বেশি মানুষ।
‘কংক্রিট কিছু বলতে পারছি না’
বিস্ফোরণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান জিল্লুর বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় যে বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো ঘটেছিল এবং মানুষ মারা গেছিল, সেগুলো হলো গ্যাস থেকে বা গ্যাস সমপর্যায়ের জিনিস থেকে বিস্ফোরণগুলো হয়েছিল। এখানে যেহেতু বিস্ফোরণের সাথে আলামতের মিল রয়েছে, আমরা সে রকমই কিছুটা অনুমান করছি। কিন্তু কংক্রিট এখনও কিছু বলতে পারছি না।
‘এখনই বলা সম্ভব না এখানে কী থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ভাগে ভাগে আলামত সংগ্রহ করছেন। আলামতগুলো এক করে সবার মতামত নিয়ে পরবর্তীতে প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে।’