রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তর।
সংস্থাটির প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বড় আওয়াজ ও এত ধ্বংসযজ্ঞ সাধারণভাবে ঘটনা ঘটে না। অসাধারণ একটি বিষয় জড়িত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
মগবাজারে সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকার আড়ংয়ের শোরুম ও রাশমনো হাসপাতালের উল্টো দিকের মূল সড়ক লাগোয়া একটি ভবনে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণ হয়। এতে মৃত্যু হয় ছয়জনের। আহত হয় ৫০ জনের বেশি মানুষ।
বিস্ফোরণ নিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এত বড় বিস্ফোরণ, বড় আওয়াজ এত ধ্বংসযজ্ঞ সাধারণভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে না। অসাধারণ একটি বিষয় জড়িত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কোন বিস্ফোরণের জন্য এত বড় ক্ষতি হতে পারে না।
‘বিগত দিনগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে যা দেখেছি, বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। মগবাজারের এই ঘটনাটির অনেক পার্থক্য রয়েছে।’
বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি; অনুসন্ধান চলছে। তবে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পক্ষ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা দেখতে পেয়েছি, ভবনটিতে হাইড্রোকার্বনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
‘হাইড্রোজেন ও কার্বন পাওয়া গেলে এটাকে আমরা ধরে নিই ন্যাচারাল গ্যাস থেকে এ ঘটনা ঘটেছে; ন্যাচারাল গ্যাস যেটা সরকারিভাবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে কানেকশন করা হয়ে থাকে।’
হাইড্রোকার্বনের মাত্রা কেমন পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে খোলামেলা থাকায় এর মাত্রা কম পাওয়া গেছে
বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে কী ধারণা পাওয়া গেছে জানতে চাইলে আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু হাইড্রোজেন ও কার্বনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে তাহলে ধরা যেতে পারে সেখানে ন্যাচারাল গ্যাসের লিকেজ থেকে ঘটনা ঘটেছে। ন্যাচারাল গ্যাস লিকেজের কোনো ঘটনা থাকতে পারে।
‘বৈদ্যুতিক, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গ্যাস পাইপলাইন লিকেজ, যে কারণেই ঘটনা ঘটুক না কেন, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’