চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় খুন হওয়া মো. রকিকে মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় করা মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুই আসামির স্বীকারোক্তির পর শনিবার রাতে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের শফিকুল আলম এবং একই এলাকার মো. সোহেল।
ওসি আনোয়ার জানান, শুক্রবার রাতে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোহেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। শুরুতে অস্বীকার করলেও শনিবার ভোরের দিকে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে ঘটনায় জড়িত আরও দুজনের নাম পুলিশকে জানায় সোহেল। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে শফিককে আটক করে পুলিশ। শফিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী খুনে ব্যবহৃত ছুরি এবং রকির মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, ‘শনিবার সকালে রকির বাবা আহমদ শফির তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করলে সোহেল ও শফিককে গ্রেপ্তার দেখান হয়। আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। কাজের সুবিধার্থে তার নাম প্রকাশ করছি না।
‘গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে উপস্থিত করা হলে তারা জবানবন্দি দেয়। পরে তাদের কারাগের পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।’
৩৫ বছর বয়সী মো. রকি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আহমদ শফির। তিনি সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের একটি আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করতেন।
ওসি আনোয়ার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের পাশে মোবাইলে গেম খেলছিলেন রকি, শফিক, সোহেল ও আরেক ব্যক্তি। একপর্যায়ে শফিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় শফিকের। শফিক পরে রকিকে ছুড়িকাঘাত করে, তাকে সাহায্য করে সোহেল ও আরেক ব্যক্তি।
‘আমরা হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলি। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তাদের মধ্যে সোহেল খুনের কথা স্বীকার করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শফিককে আটক করি।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানানা, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত রকিকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।