আগের দিন পাওয়া গিয়েছিল নারীর কেটে নেয়া দুটি হাত ও একটি পা। আর এবার মিলল মাথা ছাড়া দেহের বাকি অংশ। এখনও আরেকটি পায়ের খোঁজে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মীর্জাপুর এলাকার উত্তর বৌলাছড়ার দিলু মিয়ার বাগানে একটি বস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় সেই নারীর দেহের খণ্ড।
আগের দিন সকালে দক্ষিণ পাচাউন গ্রামে ফসলের মাঠে একটি খণ্ডিত পা পাওয়া যায়। আধা কিলোমিটার দূরে একই গ্রামের দুর্গেশ দত্তের বাঁশঝাড়ে একটি কাটা হাত ও গৌর দত্তের বাঁশঝাড়ে আরেকটি হাত পাওয়া যায়।
খুনের পর এমন নৃশংসতায় হতবাক পুলিশ। বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ছুটে এসেছেন ঘটনাস্থলে।
দেহের খণ্ড উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র এএসপি শহীদুল হক, শ্রীমঙ্গল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালিক ও পিবিআই এর একটি দল।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক নিউজবাংলাকে জানান, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও মাথা ও একটি পা পাওয়া যায়নি। বাকিগুলো উদ্ধারের পর মেয়েটির পরিচয় শনাক্ত করা হবে।’
ওই নারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তিনি কোথায় থাকতেন, ওই এলাকায় কীভাবে এলেন, সেটি তার মুখমণ্ডলের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত জানা কঠিন। তবে অবস্থায় আঙ্গুলের ছাপের ওপর ভরসা রাখছে পুলিশ। তার জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে সেখানে আঙ্গুলের ছাপ থাকার কথা।