বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শর্ত পূরণে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৬০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা

  •    
  • ২১ জুন, ২০২১ ২০:৩৪

কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৪ কোটি ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৩ টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে আছে মোট শেয়ারের ৫১.৩৬ শতাংশ বা ২ কোটি ২২ লাখ ৩৭ হাজার ১৩০ টি। আট উদ্যোক্তা ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৯টি শেয়ার কেনার কিনলে তাদের হাতে থাকবে ২ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ২৭৯টি শেয়ার। তখন তাদের হিস্যা হবে ৬৫.৩১ শতাংশ।

বিমা খাতের কোম্পানির ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ছয় পরিচালক ৬০ লাখেরও বেশি শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন।

আগামী এক মাসের মধ্যে এই শেয়ার কেনা শেষ হলে কোম্পানির শেয়ারের ৬৫ শতাংশের বেশি চলে যাবে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে।

৪২ কোটি ২৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির ৫১.৩৬ শতাংশ এখন এর উদ্যোক্তা পরিচালকরা ধারণ করে আছেন।

৬০ শতাংশের শর্ত পূরণ করলে যে পরিমাণ শেয়ার কিনতে হতো, তার চেয়ে দেড় গুণেরও বেশি কিনতে যাচ্ছেন তারা।

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সচিব কাউসার মুন্সি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইডিআরএ যে আইন আছে সেটি পরিপালনেই কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন।’

কেন এত দেরিতে ঘোষণা দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছ থেকে সময় নেয়া ছিল।’

কে কত শেয়ার কিনবেন

উদ্যোক্তা পরিচালক হোসনা আরা বেগম কিনবেন সবচেয়ে বেশি ১২ লাখ ৮ হাজার শেয়ার। ২১ জুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে তিনি এই তথ্য জানান। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শেয়ার কেনা শেষ করবেন তিনি।

দুই পরিচালক ফরিয়া রহমান ও মাহমুদা বেগম কিনবেন ৭ লাখ ৫৫ হাজার করে শেয়ার। তিনিও একই দিন এই তথ্য জানিয়েছেন।

এই ৩০ কার্যদিবসে পরিচালক আতিকুর রহমান কিনবেন ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৫৭৫টি শেয়ার। আর এ কে এম মোশাররফ হোসেন কিনবেন ৬ লাখ ৫ হাজার ৫৭৪টি শেয়ার।

কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কেনার প্রথম ঘোষণা আসে গত ১৬ জুন। সেদিন মোট তিন জন পরিচালক শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন।

এর মধ্যে হাসনাত মোশাররফ ও হাসিব মোশাররফ ৬ লাখ ৪ হাজার করে এবং তাসমিয়া রহমান ৭ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন।

শেয়ারের হিস্যার হিসাব

কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৪ কোটি ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৩ টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে আছে ৫১.৩৬ শতাংশ বা ২ কোটি ২২ লাখ ৩৭ হাজার ১৩০ টি।

আট উদ্যোক্তা পরিচালক মোট ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৯টি শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন, যা মোট শেয়ারের ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এই পরিমাণ শেয়ার কেনার পর তাদের হাতে থাকবে মোট শেয়ারের ২ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ২৭৯টি বা ৬৫.৩১ শতাংশ।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪১.৭৪ শতাংশ বা ১ কোটি ৮০ লাখ ৭১ হাজার ৯৯৮টি শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। ২৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬৪টি শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে।

বিমা আইনে কী আছে

বিমা আইন ২০১০-এর ২১(৩) ধারার তফসিল-১-এ বলা হয়েছে, দেশে নিবন্ধিত জীবন বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ৩০ কোটি টাকা, যার ৬০ শতাংশ আসবে উদ্যোক্তাদের কাছ থাকে। বাকি ৪০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে।

সাধারণ বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন হবে ৪০ কোটি টাকা, যার ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তারা দেবেন। বাকি ৪০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য।

পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষণ ব্যর্থ হওয়া বিমা কোম্পানিগুলোকে গত জানুয়ারিতে এক মাস সময় বেধে দিয়ে ১২ জানুয়ারি ১২টি জীবন বিমা ও ১৭ জানুয়ারি ৩০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) আইন পরিপালন সংক্রান্ত দুটি চিঠি দেয় বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।

এক দশক পর আইনের এই বিষয়টির পাশাপাশি বিমা খাতে সংস্কারসহ নানা ইস্যুতে শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। গত এক বছরে কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ার দর ১০ গুণও হয়েছে।

শেয়ারের ৬০ শতাংশ ধারণ করতে হলে বিপুল সংখ্যক শেয়ার উদ্যোক্তা-পরিচালকদেরকে কিনতে হবে-এই বাস্তবতায় গত এক সপ্তাহ ধরে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের আট জন শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন সবচেয়ে কম কিনবেন ছয় লাখ, আর সবচেয়ে বেশি ১২ লাখেরও বেশি কেনার ঘোষণা এসেছে আরেক জনের পক্ষ থেকে।

রোববার আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেন বিমা সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জানিয়েছিলেন, আইনে যা তা কোম্পানিগুলোকে পালন করতে হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে এই আইন পরিপালনে শেয়ার কিনতে হবে। ফলে এখানে কিছুটা সময় প্রয়োজন। তবে তাদের অবশ্যই আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

যেসব কোম্পানি এখনও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি সেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার না থাকলে অনুমোদন দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর