বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধসে পড়া ভবনটির ছিল না অনুমোদন

  •    
  • ২১ জুন, ২০২১ ১০:৫১

‘এই ভবন নির্মাণে খুবই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছিলো একারণেই এটি ধসে পড়েছে। প্রথমত অনুমোদন ছাড়াই এতবড় ভবন নির্মাণ করা হচ্ছিল এটা একটা অপরাধ। আবার এভাবে ভাঙাড়ি যাতীয় জিনিস দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ করা আরও বড় অপরাধ।’ 

রাজশাহী মহানগরীর কয়েরদাঁড়া এলাকায় ধসে পড়া ভবনটি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অনুমোদন ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এটি ধসে পড়েছে বলে জানান আরডিএর কর্মকর্তারা।

আরডিএর অথরাইজড অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ওই ভবন নির্মাণে কোনো অনুমোদনই নেয়া হয়নি। অনুমোদন ছাড়াই এটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। আরডিএ ওই এলাকায় নকশা অনুমোদন দেয়া বন্ধ রেখেছে। এটি ধসে পড়ার পর সেখানে আরডিএর লোকজন পরিদর্শন করেছে।

‘এই ভবন নির্মাণে খুবই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছিল। একারণেই এটি ধসে পড়েছে। প্রথমত অনুমোদন ছাড়াই এত বড় ভবন নির্মাণ করা হচ্ছিল এটা একটা অপরাধ। আবার এভাবে ভাঙাড়ির জিনিস দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ করা আরও বড় অপরাধ।’

তবে এটি নিয়ে তাদের আপাতত কোনো করণীয় নেই জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবো। এভাবে যেন কেউ ভবন তৈরি না করে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েরদাঁড়া এলাকায় একটি রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে। এভাবে কোনো রকমে একটি ভবন বানিয়ে রাখতে পারলে জমি অধিগ্রহণে সময় ভালো দাম পাওয়া যাবে এমন আশা করেছিলেন ধসে পড়া ভবনের মালিক। তাই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কম খরচে ভবনটি তৈরি করছিলেন তিনি।

চারতলা ভবনটি রোববার বেলা ৩টার দিকে ধসে পড়ে। সে সময় সেখানে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে চাপা পড়েছে কয়েকটি প্রাইভেটকার।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ বলেন, ‘ভবনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট। প্রস্থে ছিল ৪০ ফুট। চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল। ওপরে আরেকতলা তোলার জন্য বিম ওঠানো হয়েছিল।

জানা গেছে, ভবনটির মালিক ছিলেন আক্তারুজ্জামান বাবলু নামের এক ব্যবসায়ী। প্রায় এক বছর আগে তিনি মারা গেছেন। এখন ভবনের মালিকানায় আছেন তার ছোট ভাই নুরুজ্জামান পিটার। তবে আক্তারুজ্জামান বাবলুর মৃত্যুর পর থেকে ভবনটিতে আর কাজ হয়নি।

ভবন মালিকের ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন দাবি করেন, ভালোমানের সামগ্রীই ব্যবহার করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘ভবন আগেই নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু কেউ থাকত না।’

আরডিএর কাছ থেকে এই ভবনটির নকশার অনুমোদন নেয়া হয়েছিল কিনা তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর