চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সালাহ উদ্দিনকে চাপা দেয়া মাদকবাহী মাইক্রোবাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর শুক্রবার রাতে মো. বেলাল নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন। তিনি জানান, শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হবে।
নিউজবাংলাকে আমির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের কিছু সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মাইক্রোবাসচালককে শনাক্ত করা হয়। এরপর সম্ভাব্য বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাইক্রোবাসচালক বেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় ১১ জুন ভোর ৪টার দিকে মাইক্রোবাসের চাপায় নিহত হন এএসআই সালাহ উদ্দিন। এ সময় আহত হন কনস্টেবল মো. মাসুম। পুলিশ বলছে, মাইক্রোবাসটিতে মাদক পরিবহন করা হচ্ছিল।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পার্বত্য এলাকা থেকে চোলাই মদবাহী একটি কালো মাইক্রোবাস চট্টগ্রাম শহরের দিকে আসছে বলে জানতে পারেন এসআই সালাহ উদ্দিন।কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার মেহেরাজখানঘাটা পেট্রলপাম্পের সামনে মাইক্রোবাসটিকে থামার সংকেত দিলে গাড়িটি গতি কমিয়ে আনে।
এ সময় গাড়িটি থেমেছে ভেবে এএসআই সালাহ উদ্দিন ও চালক মাসুম মাইক্রোবাসটির কাছে গেলে গাড়িটি গতি বাড়িয়ে দুইজনকে চাপা দেয়। আহত দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সালাহ উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ওই মোবাইল টিমের অফিসার এসআই রফিকুল ইসলাম ফোর্সসহ গাড়িটিকে তাড়া করেন।
নগরীর এক কিলোমিটার এলাকায় গাড়িটি থামিয়ে চালকসহ অন্যরা পালিয়ে যান৷ পরে পুলিশ গাড়িটি জব্দ করে। ওই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় ওই দিন বিকেলে চান্দগাঁও থানার এসআই আমির হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।
মামলার বিষয়ে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকেলে এসআই আমির হোসেন একটি হত্যা ও আরেকটি মাদক মামলা করেছেন। দুই মামলাতেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।