বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীমনির মামলায় নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের ছাড় নয়: পুলিশ

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ২৩:৩৮

‘পরীমনির অভিযোগ পাওয়ার পর পরই পুলিশ তদন্তে নামে। প্রধান আসামিদের গ্রেপ্তার করে। যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা হিসাবে পুলিশ সব সময়েই পেশাদারত্বের পরিচয় দিয়ে থাকে।’

আলোচিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করার পর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের কথা জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশ বলছে, পরীমনি ফেসবুকে প্রথম অভিযোগ তোলার পরপরই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপরে দ্রুততম সময়ে মামলা গ্রহণ এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পরীমনির সোমবার মামলা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে। মদ রাখার অভিযোগে তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও তিন নারী।

পরদিন মাদক মামলায় নাসির ও অমিকে সাত দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার অপর তিন নারীকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বুধবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরীমনির অভিযোগ পাওয়ার পর পরই পুলিশ তদন্তে নামে। প্রধান আসামিদের গ্রেপ্তার করে। যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা হিসাবে পুলিশ সব সময়েই পেশাদারত্বের পরিচয় দিয়ে থাকে।’

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটি যথাযথ গুরুত্ব সহকারে নেয়া হয়েছে। তদারকির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও সক্রিয় রয়েছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে পূর্ণ পেশাদারি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।’

এর আগে রোববার রাতে ফেসবুক পোস্টে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেন পরীমনি। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এই বিচার কই চাইব আমি? কোথায় চাইব? কে করবে সঠিক বিচার? আমি খুঁজে পাইনি গত চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্রবন্ধু বেনজীর আহমেদ আইজিপি স্যার! আমি কাউকে পাই না মা (প্রধানমন্ত্রী)।’

তবে এর দুই দিন বাদে মঙ্গলবার ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার পর বেরিয়ে পুলিশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ছিল পরীমনির কণ্ঠে। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং পুলিশ বাহিনীর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে পরীমনি সাংবাদিকদের বলেন, সবার ভালোবাসায় তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি পেয়েছেন।

আলোচিত এই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি আসলে মেন্টালি কতটা স্ট্রং হয়ে গেছি। সবাই এত সাপোর্ট দিয়েছেন…।’

আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরীমনি বলেন, ‘আমার একমাত্র ভরসা উনিই ছিলেন। আমি সে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারতেছিলাম না বলেই এসব কথা। তিনি যখন জেনেছেন এই কথাটা, বেনজীর স্যার যখন জেনেছেন, তার কান অবধি গেছে, কান অবধি পৌঁছাতে পেরেছি, তখন তো আপনারা দেখলেন, কয়েক ঘণ্টা লাগছে মাত্র।

‘আমার তো মূল বিশ্বাসটা ওইটাই ছিল, তার কান অবধি পৌঁছালে সে একদম সেটা নিজের মতো করে দেখে নেবে।’

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রথম দিকে হতাশার কারণ জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, ‘আমি ওই পর্যন্ত যেতে পারছিলাম না, এটা নিয়েই তো এতক্ষণ কথা বলছি।’

ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে পরীমনি বলেন, ‘এখানে এসে আমি আসলে মেন্টালি অনেক রিফ্রেশড। আমি যে কাজে ফিরব, এটা কেউ আমাকে কিন্তু বলেনি। আমার আশপাশে যারা ছিল তারা সবাই আমাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু আমার যে কাজে ফিরতে হবে, আমাকে এই শক্তিটা তারা (পুলিশ) জুগিয়েছেন এতক্ষণ ধরে।’

গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার কাজ নিয়ে কথা বলেছে, আমাকে নানা রকম গুড ভাইভ দেয়া হচ্ছে। আমার নরমাল লাইফে কীভাবে ফিরে যাব। আমি এতটা তাদের কাছে আশা করিনি। তারা এতটা বন্ধুসুলভ, একটা ম্যাজিকের মতো হয়ে গেছে।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশিদেরও প্রশংসা করেন পরীমনি। বলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি হারুন স্যার যেভাবে ম্যাজিকের মতো কয়েক ঘণ্টার মধ্যে…। ঘুমিয়ে মানুষ জাগে সকালে, সেইটাও আমি সুযোগটা পাইনি। মানে ঘুমানোরই আমি টাইম পাইনি। তার আগেই দেখলাম যে এত দ্রুত কাজগুলো (আসামিদের গ্রেপ্তার) হয়ে গেছে।’

পরীমনির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরীমনি প্রথমদিকে থানায় গিয়েছিলেন অস্বাভাবিক অবস্থায়। মানসিক ভারসাম্য ছিল না তার। তখন পুলিশ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল। তারপর মামলা নিয়ে আসামি গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের যে দায়িত্ব ছিল, সেটি তারা পালন করছে। এখানে তাদের কোনো ত্রুটি নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর