বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অস্ত্রের মহড়া দেয়া সেই নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আওয়ামী লীগ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৬ জুন, ২০২১ ২২:৫৯

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নেতারা হলেন পৌর আওয়ামী লীগের স্থগিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন রেজা খান মামুন এবং সদর উপজেলার স্থগিত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক। একই অভিযোগে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। 

পাবনা গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে মহড়ার ঘটনায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না সেটি জানতে চেয়ে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

বুধবার পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকেও এই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের স্থগিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন রেজা খান মামুন (এম আর খান মামুন) এবং পাবনা সদর উপজেলার স্থগিত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ ফারুক হোসেন ওরফে হাজী ফারুক।

একই অভিযোগে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন ওরফে শেখ লালুকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে পাবনা জেলা যুবলীগ।

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার আমরা শেখ লালুকে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠিয়েছি।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্সের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আওয়ামী লীগের রাজশাহীর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির উদ্দিন আহমেদ মান্না ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্সের স্বাক্ষর করা চিঠি শোকজ পাওয়া মহসীন রেজা খান মামুন এবং হাজী ফারুকের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।’

এছাড়া চিঠির অনুলিপি দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে ওয়াটসঅ্যাপ ও কুরিয়ার করে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গণপূর্ত ভবনে যান।

তারা বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। পরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান ওই নেতারা। তবে কিছুক্ষণ পর তারা বের হয়ে যান।

তাদের সশস্ত্র মহড়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে নামে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হলে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়।

ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে এবং গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রগুলি জব্দ করে। তদন্তে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ জানিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে জেলা পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর