বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা: তদন্ত করবে জেলা শিক্ষা অফিস

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ২২:৫২

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম তৌফিকুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে দোষ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।’

জয়পুরহাটে দুই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম তৌফিকুজ্জামান বুধবার বিকেলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে দোষ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।’

এর আগে সোমবার বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন তিন নারী।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ওয়াদুদ ফাররোখ ও মো. আমানউল্লাহ আক্কেলপুর উপজেলার কাশিড়া লক্ষ্মীভাটা গ্রামের আলেয়া বেগম, শারমিন আক্তার ও জয়পুরহাট সদরের জয়পার্বতীপুর দক্ষিণ কান্দি গ্রামের নুরুননাহারের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা করে দাবি করেন।

ফাররোখ ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক এবং আমানউল্লাহ পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবিবি ঢাকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

অগ্রীম হিসেবে শারমিন তাদের দেড় লাখ, নুরুননাহার আড়াই লাখ ও আলেয়া দেড় লাখ টাকা দেন।

এরপর আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান কলেজের পেছনে একটি শিশু কল্যাণ স্কুলও চালু করেন তারা। দেড় বছর সেই স্কুলের মাসিক ৬ হাজার টাকা ভাড়া শোধ করেন এই তিন নারী। কিন্তু তারা চাকরি দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকেন ও একপর্যায়ে নানা রকম হুমকি দেয়া শুরু করেন।

এ বছরের ৩১ মে ওই তিন নারী এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, তদন্তের জন্য সময় প্রয়োজন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তো আর একটি সিদ্ধান্তে চলে যাওয়া যায় না।

এদিকে ফাররোখ ও আমানউল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আংশিক স্বীকার করে জানান, স্কুলটি ঠিকমতো প্রতিষ্ঠা করতে না পারায় ওই তিন নারীকে কিছু টাকা ফেরত দিয়েছেন। বাকি টাকাও ফেরত দেয়া হবে।

তবে ওই তিন নারী টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর