রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সংসদ সচিবালয় কোয়ার্টার থেকে গৃহবধূ নুসরাত জাহানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় করা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় তার স্বামী মামুন মিল্লাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার দুপুর পোনে ১টার দিকে কল্যাণপুর বাসস্টান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২।
র্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, গোপন সংবাদে র্যাব-২ এর একটি দল কল্যাণপুর বাসস্টান্ড থেকে মামুন মিল্লাতকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গত শনিবার ২৭ বছর বয়সী ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরপরই ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। সোমবার গোপন সূত্রে জানা যায়, মামুন মিল্লাত কল্যাণপুর থেকে বাসে উঠে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। দীর্ঘ সময় সেখানে অপেক্ষা করে তাকে পায় র্যাবের দলটি।
র্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন মিল্লাত তার স্ত্রী নুসরাত জাহানের মৃত্যুতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মামুন মিল্লাত
মামুন মিল্লাত ও নুসরাত জাহান দম্পতি আগারগাঁওয়ের সংসদ সচিবালয়ের কোয়ার্টারের একটি বাসায় সাবলেট থাকতেন। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও নুসরাতের কোনো সাড়া পাননি। পরে ওই ভবনের সভাপতি শেরেবাংলা নগর থানায় বিষয়টি জানান।
দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে যান আগারগাঁও থানার পুলিশ সদস্যরা। তারা বাসার দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় নুসরাতকে দেখতে পান।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়ে নুসরাত ২০১৯ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে মামুন মিল্লাতকে বিয়ে করেন। বিয়ের আগে তার নাম ছিল নিবেদিতা রোজারিও। মামুন নিজেকে বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নুসরাতকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু মামুন পুলিশ কর্মকর্তা নয়। মামুন ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা জানার পর থেকে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়।
এ ঘটনায় নুসরাতের বাবা রত্ন কান্তি রোয়াজা বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
গ্রেপ্তারকৃত মিল্লাত মামুনকে শেরেবাংলা নগর থানায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।