বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শটগান হাতে গণপূর্ত অফিসে: অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৫ জুন, ২০২১ ২১:৫৫

পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে অস্ত্র আইনের শর্তভঙ্গের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। আমরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় প্রদর্শিত অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছি।’

পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মহড়ার ঘটনা তদন্তের পর অস্ত্র আইনের শর্তভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ওই নেতাদের অস্ত্র ও গুলির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে অস্ত্র আইনের শর্তভঙ্গের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। আমরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় প্রদর্শিত অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছি।’

৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গণপূর্ত ভবনে যান।

তারা বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। পরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান ওই নেতারা। তবে কিছুক্ষণ পর তারা বের হয়ে যান।

লিখিত অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে নামে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ করে পুলিশ।

মঙ্গলবার পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হওয়া নিয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষের লোকজন খোঁজ খবর তারা করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ না করলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। ঠিকাদারদের প্রদর্শিত অস্ত্রও জব্দ করা হয়।’

পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’

এ বিভাগের আরো খবর