বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উল্টো পরীমনিকেই দুষলেন নাসির

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২১ ২১:২২

‘আমাদের কাউন্টারে খুব দামি ড্রিঙ্কস ছিল, দামি বড় বড় ড্রিঙ্কস ছিল সেটা তারা জোর করে নেয়ার চেষ্টা করেছিল।’

ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ গত বুধবার রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য উল্টো চিত্রনায়িকা পরীমনিকেই দোষারোপ করেছেন।

গ্রেপ্তারের আগে কয়েকটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় পার্টির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য দাবি করেছেন, তাদের কাউন্টারে দামি মদ ছিল। পরীমনি ও তার সঙ্গীরা সেটি জোর করে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। আর তারা দিতে চাননি বলে তাকে গালাগাল করা হয়।

গত রোববার রাতে পরীমনি তার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করেন, তাদের ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে আর তিনি আইনের আশ্রয়ও নিতে পারছেন না।

পরে রাতে গণমাধ্যমকর্মীরা তার বাসায় গেলে তিনি জানান, গত বুধবার রাতে একটি কাজ নিয়ে আলোচনা করতে তিনি দুই সঙ্গীসহ আশুলিয়ার বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে যান।

সেখানে এই ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ তাকে জোর করে মুখে মদের বোতল ঠেলে দিয়েছেন। তাকে চড় থাপ্পড় দিয়েছেন। তার সঙ্গী জিমিকে মারধর করেছেন। এরপর সেখান থেকে এসে বনানী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা নেয়নি।

গণমাধ্যমে এই সংবাদ আসার পর তোলপাড় হয়ে যায়। সোমবার সকালে পরীমনির বাসার সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। তার মামলা গ্রহণ করা হয় সাভার থানায়। আর সে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে।

গ্রেপ্তারের আগে নাসির সেই রাতের ঘটনার অন্য এক ধরনের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাউন্টারে খুব দামি ড্রিঙ্কস ছিল, দামি বড় বড় ড্রিঙ্কস ছিল সেটা তারা জোর করে নেয়ার চেষ্টা করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘তারা তো নিতে পারে নাই, তারা তো ক্লাবের মেম্বার না। আমি জাস্ট তাদেরকে বাধা দিছি যে নেয়া যাবে না। নিতে হলে তোমাদের …. দিতে হবে এটা বিক্রি যোগ্য না। বাই দিস টাইম আমাদের বার ক্লোসড। এটা দেয়া যাবে না।

‘এর পরই সে (পরীমনি) উত্তেজিত হয়ে যায়। উত্তেজিত হয়ে একটার পর গ্লাস প্লেট… সে আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। আমাদের স্টাফরা তাকে থামানোর চেষ্টা করে।’

নাসির উদ্দিনের দাবি, তিনি পরীমনিকে আগে থেকে চিনতেন না। আর ঘটনার সময় তিনি তাকে থামাতে চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি মারধরের স্বীকার হন।

তিনি বলেন, ‘তার (পরীমনির) সঙ্গে যে একটা ছেলে ছিল সে আমাকে চড়-থাপ্পড় দেয় ও গ্লাস ছুড়ে মারে। সেটি আমার গায়ে লাগে। এই অবস্থায় আমাদের সিকিউরিটিদের আমি নির্দেশ দেই, তখন সিকিউরিটিরা তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। যখন সিকিউরিটিরা নিয়ে যায় বাই দিস টাইম সে অনেক ড্রিঙ্ক করে ফেলেছে এবং এটা আমাদের সিসি ক্যামেরায় দেখবেন যে, সে ড্রিঙ্ক করা অবস্থায় গাড়িতে উঠতে পারছে।’

এই ঘটনাটি ক্লাবকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেন নাসির। বলেন, ‘ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী ইট হ্যাজ বিন রিপোর্টেড। আমাদের যারা স্টাফ আছে তারা লিখিতভাবে সমস্ত রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্টে পরিষ্কার কিন্তু আমার সঙ্গে তার কিছুই হয়নি।’

বোট ক্লাব অবশ্য এই ঘটনায় নাসির উদ্দিনকে বরখাস্ত করেছে। ক্লাবের নির্বাহী সদস্য বখতিয়ার আহমেদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, আমরা সিরিয়াস অ্যাকশন নেব। এরই মধ্যে নাসির উদ্দিনের সদস্যপদ সাসপেন্ড (সাময়িকভাবে বহিষ্কার) করা হয়েছে। সে আর ক্লাব ইউজ করতে পারবে না। ইনকোয়ারি রিপোর্টের পর যদি দেখা যায় অভিযোগ প্রমাণিত, তাহলে তার সদস্যপদ পুরোপুরি ক্যানসেল হয়ে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর