নেত্রকোণার মদনে ইজিবাইকের চালক রিজান মিয়া হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই খুন করা হয় রিজানকে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার পাগলা বস্তি থেকে রোববার রাতে হত্যার সঙ্গে জড়িত সাগর মিয়াকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এ তথ্য।
নেত্রকোনা ডিবি পুলিশ সোমবার বিকেলে এ তথ্য জানায়।
২৪ বছরের সাগর মিয়া মদন মোড়ল বাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রিজান প্রতিদিনের মতো গত মঙ্গলবার সকালে তার ইজিবাইকটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সন্ধান না পেয়ে বুধবার রাতে মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে রিজানের পরিবার।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয়রা উপজেলার খাগুরিয়া এলাকার একটি পাটক্ষেতে রিজানের অর্ধগলিত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আর রিজানের ইজিবাইকটি উপজেলার বটতলা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রিজানের বাবা শুক্রবার সকালে থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলাটি নিয়ে ছায়া তদন্ত চালায়।
ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহম্মদের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ শনিবার আটপাড়া সোনাজুর বাজারের একটি ভাঙারির দোকান থেকে রিজানের ইজিবাইকের ব্যাটারিগুলো জব্দ করে।
এ সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে রোববার রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা বস্তি থেকে সাগর মিয়াকে আটক করা হয়। পরে রিজানের বাবার করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসআই ফরিদ আহম্মদ বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে সাগর মিয়া জানিয়েছেন, রিজানের ইজিবাইকটি ছিনতাই করতে তিনিসহ আরও দুজন যাত্রীবেশে ইজিবাইকে ওঠেন। খাগুরিয়া এলাকায় এলে রাস্তার পাশের পাটক্ষেতে রিজানকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।’
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত অন্য দুজন আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে দুইজনের নাম জানাননি তিনি।