কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে স্ত্রী ও আগের পক্ষের সন্তানসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি এএসআই সৌমেন রায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে সোমবার দুপুরে এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক এনামুল হক।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) খাইরুল আলম।
এর আগে কঠোর নিরাপত্তায় আসামিকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়।
এসপি বলেন, নিহত আসমার মা হাসিনা খাতুনের করা মামলায় আদালতে আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার আবেদন করা হয়। পরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এনামুল হক জবানবন্দি নেন। জবানবন্দিতে সৌমেন রায় হত্যার কথা স্বীকার করেন। বলেন, স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরে তিনি তিনজনকে খুন করেছেন।
কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে রোববার বেলা ১১টার দিকে তিন খুনের ওই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসমা তার শিশুসন্তানকে নিয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কাস্টম মোড়ে তিনতলা একটি ভবনের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিকাশকর্মী শাকিলও। হঠাৎ সেখানে পৌঁছে সৌমেন পিস্তল বের করে আসমার মাথায় গুলি করেন। পাশে থাকা শাকিলের মাথায়ও গুলি করেন তিনি। আসমার ছেলে রবিন পালাতে গেলে তাকে ধরে মাথায় গুলি করা হয়।
এ সময় আশপাশের লোকজন সৌমেনকে ধরতে গেলে তিনি দৌড়ে তিনতলা ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন। পরে লোকজন ভবনটি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন।
একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সৌমেনকে গ্রেপ্তার করে। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সৌমেন রায় পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেন আসমা খাতুনকে। এটি সৌমেনের দ্বিতীয় বিয়ে হলেও আসমার তৃতীয়।
আসমা এর আগে বিয়ে করেন সুজন ও রুবেল নামে দুজনকে। রুবেলের ঘরের সন্তান হলো রবিন।
তিন খুনের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। বরখাস্ত করা হয়েছে এএসআই সৌমেনকে।