বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীমনির পোস্টে আইজিপির নাম কেন, স্পষ্ট নয় পুলিশ

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২১ ১৪:২১

একটি বিষয় পরিষ্কার না, আইজিপি মহোদয়কে তিনি (পরীমনি) কেন মেনশন করলেন তার পোস্টে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বা অন্য কোনোভাবে আইজিপি মহোদয়কে যোগাযোগ করেননি: এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা

চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমনি তার ফেসবুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে যে পোস্ট করেছেন, তাতে পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের নাম কেন এলো সেটা বুঝতে পারছে না বাহিনীটি।

পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, ঘটনার পর পরীমনি ব্যক্তিগতভাবে বা অন্যকোনোভাবে আইজিপির সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

বেনজীর আহমেদ সব সময় নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনায় অত্যন্ত সংবেদনশীল জানিয়ে তিনি বলেন, পরীমনিকেও যথাযথ আইনি সহযোগিতা দেয়া হবে।

রোববার রাতে পরীমনি তার ফেসবুক পেজে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করে পোস্ট দেয়ার পর তোলপাড় হয়ে যায়।

সেই পোস্টে এই নায়িকা কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি থানায় অভিযোগ দিতে পারেননি এবং পরিচিতজনদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাননি- এমন কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান।

এর মধ্যে প্রসঙ্গক্রমে ‘বেনজীর’-এর নামও উল্লেখ করেন পরীমনি। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না।

তিনি লেখেন, ‘এই বিচার কই চাইব আমি? কোথায় চাইব? কে করবে সঠিক বিচার? আমি খুঁজে পাইনি গত চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্রবন্ধু বেনজীর আহমেদ আইজিপি স্যার! আমি কাউকে পাই না মা।’

ঘণ্টা দুয়েক পর গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে গত বুধবার রাতের সেই নির্যাতনের যে বর্ণনা পরীমনি দেন, তাতেও তিনি বেনজীর আহমেদের কথা উল্লেখ করেন। তবে তার নিজের মুখ নয়, প্রসঙ্গটি এসেছে সন্দেহভাজন নাসির ইউ মাহমুদের বরাত দিয়ে।

পরীমনি জানান, নাসির একপর্যায়ে তাকে বলেন, ‘তোকে কে বাঁচাবে? বেনজীর?’

এই কথা বলে নাসির তার ফোন ছুড়ে দেন পরীমনির কাছে। বলেন, ‘নে তাকে ফোন দে।’

নাসির ইউ মাহমুদ যে বোট ক্লাবের সদস্য, সেটির চেয়ারম্যান আইজিপি বেনজীর আহমেদ। তবে এই ক্লাবের অন্য কারও দায় আইজিপির ওপর আসার কোনো কারণ নেই।

পরীমনি এও অভিযোগ করেন যে, বনানী থানায় গিয়ে তিনি প্রত্যাশিত সহযোগিতা পাননি। থানা তার অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেনি ‘স্যার’ না থাকায়।

তখন পরীমনি তাকে হাসপাতালে নেয়ার অনুরোধ করলে এভারকেয়ার হাসপাতালের ফটকে তাকে ফেলে রেখে যায় পুলিশ।

পুলিশের এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটি বিষয় পরিষ্কার না, আইজিপি মহোদয়কে তিনি (পরীমনি) কেন মেনশন করলেন তার পোস্টে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বা অন্য কোনোভাবে আইজিপি মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’

সোহেল রানা বলেন, ‘আইজিপি মহোদয় ব্যক্তিগতভাবে নারী ও শিশুর প্রতি যেকোনো নির্যাতনের বিষয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে ফিল্ড ইউনিটগুলোকে নারী ও শিশুসহ যেকোনো মানুষের ওপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।’

পরীমনি অভিযোগ সামনে আনার পর পুলিশ কী করেছে, তাও জানান বাহিনীটির কর্মকর্তা। বলেন, ‘গতকালই এ বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। রাতেই তার (পরীমনি) বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে, তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তার কথা বিশদে শুনেছে। তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নেয়া হয়েছে। তার এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ বা পুলিশের পক্ষ থেকে যে সাপোর্টগুলো রয়েছে, সেটি নিশ্চিতভাবে দেব।’

এরই মধ্যে পরীমনির অভিযোগ এজাহার হিসেবে থানায় জমা পড়েছে। প্রথমে অভিযোগটি দেয়া হয়েছিল রাজধানীর রূপনগর থানায়। পরে সেখান থেকে ঘটনাস্থল যে থানার আওতাধীন, সেই সাভার থানায় পাঠানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর