ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির ইউ মাহমুদসহ আরও পাঁচজনের কথা উল্লেখ করেছেন।
তবে ওই পাঁচজনের মধ্যে নাম আছে কেবল একজনের। বাকি কাউকে পরীমনি চেনেন না। তাই এজাহারে উল্লেখ আছে অজ্ঞাত হিসেবে।
দ্বিতীয় যে নামটি তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি হচ্ছেন তুহিন।
এই তুহিন আবার অমি নামেও পরিচিত। আর তিনিই গত বুধবার রাতে পরীমনিকে কাজের কথা বলে আশুলিয়ার বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন।
অমি পরীমনির পূর্ব পরিচিত এবং তিনি অনেক দিন ধরেই কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। আর এ কারণেই পরীমনি তার সঙ্গে আলোচনা করতে যান। কিন্তু বোট ক্লাবে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার হন।
রোববার রাতে ঢাকায় তার বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সেই রাতের দুঃসহ পরিস্থিতি তুলে ধরে একপর্যায়ে পরীমনি বলেন, তার কাছে মনে হয়েছে তাকে পরিকল্পিতভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর এর সঙ্গে অমিও জড়িত।
তবে সেই অমি কে, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরীমনির লিখিত এজাহার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রূপনগর থানা থেকে ঢাকা জেলার সাভার থানা পুলিশের কাছে পৌঁছেছে। সেখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা রেকর্ড করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি ও ঢাকা জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা।
তারা আরও জানান, রোববার মধ্যরাতে মিরপুর বিভাগের রূপনগর থানা পুলিশ পরীমনির বাসায় যান। সেখানে গিয়ে তার লিখিত অভিযোগ জমা নেন। পরবর্তীতে অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনাস্থল রূপনগর থানায় না হওয়ায় ওসি মামলা গ্রহণ না করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নথিভুক্ত করেন। ঘটনাস্থল সাভার মৌজায় হওয়ায় রূপনগর থানা পুলিশ জিডিমূলে পরীমনির লিখিত অভিযোগটি পুলিশের একজন বাহকের মাধ্যমে সাভার থানায় পাঠায়।
সাভার থানা পুলিশ জানায়, এজাহারে আসামি হিসেবে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন (অমি) নামে দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহেল কাফি নিউজবাংলাকে জানান, পরীমনির লিখিত অভিযোগ তাদের কাছে রয়েছে। সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে।
রাতে রূপনগর থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়ার পর থেকেই পরীমনির ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ রয়েছে। তিনি বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, মামলা করার পর থেকেই তার ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তার ঘনিষ্ঠ স্বজনরাও তার অবস্থান নিয়ে মুখ খুলছেন না।