বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রদের ওপর হামলা: চার সদস্যের তদন্ত কমিটি

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২১ ১৭:১১

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল ইসলাম রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, শনিবার ওই কমটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মোস্তফা জামান চৌধুরীকে। অন্য সদস্যরা হলেন-সার্জারি বিভাগের গোলাম ফারুক, জরুরি বিভাগের ইনচার্জ আবুল হাসান, ওয়ার্ড মাস্টার মাহমুদ হাসান।

৫ কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান হাসপাতাল পরিচালক।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজওয়ানুল করিম রিয়াদ ও তার ছোটভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ করিম।

এ সময় ভর্তির ৩০ টাকার বদলে ১০০ টাকা নেন হাসপাতালের কর্মচারীরা। রিয়াদ এই টাকার রশিদ চাইলে তাকে মারধর করেন তারা। রিয়াদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে হামলার শিকার হন তার ছোট ভাই রাশেদও।

রিয়াদ ও রাশেদ বর্তমানে ওই হাসপাতালেরই সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গেল তিন দিনেও এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেল ৪ টায় প্রেসক্লাব চত্বর থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অভিমুখে গণপদযাত্রা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘এত বড় একটি ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। আমরা চাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এই দাবিতেই আমরা গণপদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা সেখানে গিয়ে একটি সমাবেশ করব।’

আহত রেজওয়ানুল ইসলাম রিয়াজের বাবা শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। কারণ, চিকিৎসার ক্ষতি হতে পারে। আগে ছেলেরা সুস্থ হোক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তাই করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চাই ভিক্টিম মামলা করুক। আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি তাজহাট জোন) আলতাফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ নিয়ে ভিক্টিম এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিব।’

রংপুর মেডিক্যোল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল ইসলাম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর