চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা এলাকায় মাইক্রোবাসের চাপায় সালাহ উদ্দিন নামের পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক নিহত হওয়ার ৪০ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি, আমাদের একাধিক টিম দোষীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারে কাজ করছে।’
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় একটি মাইক্রোবাসের চাপায় নিহত হন এএসআই সালাহ উদ্দিন। এসময় আহত কনস্টেবল মো. মাসুম নামের। পুলিশ বলছে, মাইক্রোবাসটিতে মাদক পরিবহন করা হচ্ছিল।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজগুলো সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছি। আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। এটা নিশ্চিত যে ওরা বাঁচার জন্যই গাড়ি দিয়ে এএসআই সালাহ উদ্দিন ও কনস্টেবল মাসুমকে ধাক্কা দিয়েছিলো। তবুও আমরা প্রাসঙ্গিক সব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এগুনোর চেষ্টা করছি।’
চান্দগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর জানান, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পার্বত্য এলাকা থেকে চোলাই মদবাহী একটি কালো মাইক্রোবাস চট্টগ্রাম শহরের দিকে আসছে বলে জানতে পারেন এসআই সালাহ উদ্দিন।কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার মেহেরাজখানঘাটা পেট্রোল পাম্পের সামন মাইক্রোবাসটিকে থামার সংকেত দিলে গাড়িটি গতি কমিয়ে আনে।
এ সময় গাড়িটি থেমেছে ভেবে এএসআই সালাহ উদ্দিন ও চালক মাসুম মাইক্রোবাসটির কাছে গেলে গাড়িটি গতি বাড়িয়ে দুইজনকে চাপা দেয়। আহত দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সালাহ উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ওই মোবাইল টিমের অফিসার এসআই রফিকুল ইসলাম ফোর্সসহ গাড়িটিকে তাড়া করেন।
নগরীর এক কিলোমিটার এলাকায় গাড়িটি থামিয়ে গাড়ির চালকসহ অন্যরা পালিয়ে যান৷ পরে পুলিশ গাড়িটি জব্দ করে। ওই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় ওইদিন বিকেলে চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।
মামলার বিষয়ে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে এসআই আমির হোসেন একটি হত্যা ও আরেকটি মাদক মামলা করেছেন। দুই মামলাতেই অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করা হয়েছে।’