বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খণ্ডিত লাশের মাথা খুঁজছে পুলিশ

  •    
  • ৯ জুন, ২০২১ ১৭:১৮

‘ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া মরদেহের সঙ্গে থাকা আলামত নিয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। তাকে অন্য কোথাও খুন করে ওই পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে আমরা ধারণা করছি।’

মাগুরা মহম্মদপুরের বিনোদপুর এলাকায় পুকুর থেকে উদ্ধার খণ্ডিত মরদেহের মাথা এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মাথা ছাড়াও একটি পা পাওয়া যাচ্ছে না।

ওই যুবকের খণ্ডিত মরদেহ রোববার উদ্ধার করে মহম্মদপুর থানা-পুলিশ। কী কারণে এই হত্যা তার উত্তর খুঁজছে তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পার হলেও খুনের কারণ ও কারা জড়িত তা সামনে আনতে পারেনি পুলিশ।

মাথা খুঁজে না পাওয়ায় পরিবারের শনাক্তের ওপর দিয়েই তদন্ত চলছে। ঘটনার দিন ওই মরদেহটি বড় ভাই মো. আজিজুর রহমানের বলে শনাক্ত করেন হাবিবুর রহমান। এই তথ্য ধরেই আগাচ্ছে পুলিশ।

বিনোদপুরের পুকুর থেকে যে মরদেহের বিকৃত খণ্ডিত অংশ পুলিশ উদ্ধার করেছিল তা ছিল বস্তাবন্দি অবস্থায়। সেই সময় খণ্ডিত অংশে পোশাকের রং দেখে হাবিবুর পুলিশকে জানায় এটি তার ভাই।

মহম্মদপুর থানা-পুলিশ বলছে, মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে ওই দিনই পরিবারকে দেয়া হয়েছে। হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ এনে অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা হয়েছে। এ মামলার বাদী হয়েছেন হাবিবুর।

পুলিশের নানা পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, মরদেহের মাথাটি খুঁজছে পুলিশ। সেই সঙ্গে কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে তারা আগাচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অন্য কোথাও হত্যা করে লাশটি ওই পুকুরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। আপাতত এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে করা হচ্ছে।’

পুলিশ মরদেহের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনসহ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।

মামলার বাদী হাবিবুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওটা আমার ভাইয়ের লাশ। আমার ভাই নানাবাড়িতে থাকলেও কিছু বিষয় নিয়ে বিবাদ ছিল তার স্ত্রীর স্বজনদের সঙ্গে। তবে ঠিক কী কারণে তার ভাইকে খুন করা হয়েছে তা তিনি বলতে পারছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বড় ভাই দুই বছরের ছেলেসন্তান নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছিল। সাংসারিক ঝামেলা ছাড়া বড় ধরনের কোনো বিবাদের কথা কখনও শুনিনি। হত্যার পর ভাবি তার বাচ্চাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে রয়েছেন। আমি ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার চাই।’

সদরের পুরাতন ইছাখাদায় আজিজুলের শ্বশুরবাড়ি। স্বামীর সঙ্গে বিবাদের বিষয়ে জানতে তাকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজিজুলের স্বভাব-চরিত্র ভালো ছিল। যশোরের একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করত। তবে তার সঙ্গে কারও বিবাদ আছে কিনা তারা বলতে পারেননি।

মাগুরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া মরদেহের সঙ্গে থাকা আলামত নিয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। তাকে অন্য কোথাও খুন করে ওই পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে আমরা ধারণা করছি।’

‘কয়েকটি সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করছে। আশা করি খুব শিগগিরই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার করা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর