বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিনি চুরিতে শুরু হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত

  •    
  • ৭ জুন, ২০২১ ২০:৩৩

তদন্ত কমিটির প্রধান শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শিবনাথ রায় জানান, জুডিশিয়ালি তদন্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেয়া হচ্ছে। নথি দেখা হচ্ছে, গোডাউন পর্যবেক্ষণ করা হবে। মাঠের কাজ শেষে এখান থেকে প্রতিবেদনের সারবস্তু মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। 

কুষ্টিয়া চিনিকলের গুদাম থেকে প্রায় ৫০ টন চিনি গায়েব হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্তদল।

পাঁচ সদস্যের তদন্তদল রোববার রাতে চিনিকলে পৌঁছায়। তখন থেকেই তারা কাজ শুরু করে।

কমিটির প্রধান শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শিবনাথ রায় নিউজবাংলাকে জানান, জুডিশিয়ালি তদন্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেয়া হচ্ছে। নথি দেখা হচ্ছে, গোডাউন পর্যবেক্ষণ করা হবে। মাঠের কাজ শেষে এখান থেকে প্রতিবেদনের সারবস্তু মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।

তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন যুগ্ম সচিব আনোয়ারুল আলম, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের পরিকল্পনাপ্রধান আইনুল হক, উপ মহাব্যবস্থাপক ইলিয়াছ শিকদার ও ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম।

সোমবার সকালে তারা গুদাম ও স্টোরের দায়িত্বে থাকা বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এর আগে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান বলেছিলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমরা জানতে পারি বিভিন্ন সময় গুদাম থেকে ৫২ দশমিক ৭ টন চিনি সরানো হয়েছে। স্টোরকিপার ফরিদুল হক এ কাজে জড়িত বলে আমরা জানতে পেরে তাকে বরখাস্ত করেছি। ঘটনা তদন্তে করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি।’

হদিস না পাওয়া চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।

মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, দীর্ঘদিন গুদাম খালি হয়নি। এ কারণে চিনি কখনো একবারে শেষ হয়নি। এবার চিনিকল বন্ধ হওয়ার পর মজুত শেষ হয়ে আসে।

রেজিস্ট্রারও গুদামের চিনির হিসাব মেলাতে গিয়ে দেখেন ১০০ টনের মতো থাকার কথা থাকলেও ৫২ দশমিক ৭ টন চিনি কম আছে।

শ্রমিকনেতাদের অভিযোগ, বাইরে বিক্রির সময় ওইসব ট্রাকে চিনি পাচার করেছে চিনিকলেরই একটি চক্র। এ কারণে দিনের বেলার পাশাপাশি রাতেও চিনির ট্রাক বের হতো গুদাম থেকে। এর আগে গোডাউন ধসেও কিছু চিনি নষ্ট হয়। সে সময়ও চিনি পাচার হতে পারে।

বিপুল লোকসান আর দেনার দায় নিয়ে বন্ধ রয়েছে কুষ্টিয়া চিনিকল। এখন পর্যন্ত এর লোকসান প্রায় ৬০০ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর