সিলেটে আইনজীবী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার স্ত্রীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান রোববার রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছিন আলী নিউজবাংলাকে জানান, পুলিশ শিপা বেগমের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।
তিনি আরও জানান, আইনজীবী আনোয়ার হোসেনের হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য লাশ কবর থেকে তোলার আবেদন করা হলেও আদালত এ বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
গত ১ মে নগরের তালতলা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন স্বজনরা।
ওইদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শিপা বেগম স্বজনদের জানান, ৩০ এপ্রিল সেহরি খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েন আনোয়ার। পরদিন দুপুরে বিছানায় মৃত অবস্থায় তাকে দেখতে পান তিনি।
কোনো রকম থানা-পুলিশ ছাড়াই ওই রাতে তাকে দাফন করা হয়।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আনোয়ার মারা যাওয়ার ১০ দিন পর শিপা বেগম আনোয়ারের খালাত ভাই শাহজাহান চৌধুরী মাহিকে বিয়ে করেন। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সন্দেহ হয়। এর জেরে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রায় এক মাস আগের এই মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই মনোয়ার হোসেন। বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এতে মাহিকে প্রধান আসামি ও শিপা বেগমকে দ্বিতীয় আসামিসহ আট জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলার পর শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে শাহজাহান চৌধুরী মাহি পলাতক।
নিহতের ভাই মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ভাইকে ভাবিসহ অন্যরা মিলে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’