কুষ্টিয়া চিনিকলের গুদাম থেকে প্রায় ৫০ টন চিনি গায়েব হওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
চিনিকলের সহব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) হায়দার আলী শনিবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তবে সেখানে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল ইসলাম জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।
এর আগে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান বলেছিলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমরা জানতে পারি বিভিন্ন সময় গুদাম থেকে ৫২ দশমিক ৭ টন চিনি সরানো হয়েছে। স্টোরকিপার ফরিদুল হক এ কাজে জড়িত বলে আমরা জানতে পেরে তাকে বরখাস্ত করেছি। ঘটনা তদন্তে করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি।’
হদিস না পাওয়া চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, দীর্ঘদিন গুদাম খালি হয়নি। এ কারণে চিনি কখনো একবারে শেষ হয়নি। এবার চিনিকল বন্ধ হওয়ার পর মজুত শেষ হয়ে আসে।
রেজিস্ট্রারও গুদামের চিনির হিসাব মেলাতে গিয়ে দেখেন ১০০ টনের মতো থাকার কথা থাকলেও ৫২ দশমিক ৭ টন চিনি কম আছে।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত চলছে। বিষয়টি তদন্তে উঠে আসবে। যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শ্রমিকনেতাদের অভিযোগ, বাইরে বিক্রির সময় ওই সব ট্রাকে চিনি পাচার করে আসছে চিনিকলেরই একটি চক্র। এ কারণে দিনের বেলার পাশাপাশি রাতেও চিনির ট্রাক বের হতো গুদাম থেকে। এর আগে গোডাউন ধসেও কিছু চিনি নষ্ট হয়। সে সময়ও চিনি পাচার হতে পারে।
মিলের সিবিএর সাধারণ সম্পাদক আনিস মাহমুদ বলেন, ‘এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। বিষয়টি ধরা পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র এ কাজ করে আসছিল। মিল বন্ধ না হলে হয়তো বিষয়টা ধরা পড়ত না। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হোসেন জানান, কর্মকর্তাদের কেউ কেউ এর সঙ্গে জড়িত। ১০-১২ বছর ধরে এমন কাজ চলে আসছিল বলে তার ধারণা। এক দিনে এত চিনি পাচার হয়নি। এখন বিষয়টি সামনে এসেছে।