পাবনার ঈশ্বরদীতে পুলিশের নিষেধাজ্ঞার কারণে গাছে পচতে থাকা সেই বাগানের লিচু অবশেষে বেচা হয়েছে। পাবনার পুলিশ সুপারের (এসপি) নির্দেশে মঙ্গলবার ওই বাগানের লিচু বেচা হয়।
পারিবারিক বিরোধের কারণে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পর বাগানটি থেকে লিচু পাড়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান। এতে গাছেই নষ্ট হচ্ছিল লিচু।
ওসি তখন বলেছিলেন, ‘লিচু পাড়া নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লিচু পড়ে নষ্ট হলেও আমার কিছু যায় আসে না। ওই বাগানের লিচু পাড়তে যে যাবে তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে।’
এ নিয়ে ‘লিচু পাড়লেই গ্রেপ্তার’ শিরোনামে নিউজবাংলায় সংবাদ প্রকাশ হয়। একাধিক গণমাধ্যমেও সংবাদটি প্রকাশ হয়। বিষয়টি এসপি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলামের নজরে এলে তিনি ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ও ওসি আসাদুজ্জামানের মাধ্যমে লিচু বিক্রির আশ্বাস দেন।
সেই আশ্বাসের এক দিন পার না হতেই লিচু বেচা হয়েছে। ওসি আসাদুজ্জামান জানান, লিচু বেচার টাকা স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। পারিবারিক বিরোধ মিটলে জমির মালিক টাকা পেয়ে যাবেন।
পাবনার ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর মধ্যপাড়ার শামসুল হকের সঙ্গে লিচুবাগান ও পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে ভাই-বোনদের। এ বিরোধ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। পরে বাগান থেকে লিচু পাড়ায় নিষেধাজ্ঞা দেন ওসি।
বাগানটি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আাসা শামসুল হক এসপির এমন ভূমিকায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এসপি স্যারের পদক্ষেপে পেশাদারত্ব ও দায়িত্বশীলতা দেখেছি।’