বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই দপ্তরির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

  •    
  • ১ জুন, ২০২১ ২১:০০

ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য সেলিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা জানি প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরির পরিবারের দ্বন্দ্ব অনেক দিনের। স্কুল পরিষ্কার করতে বললেই প্রধান শিক্ষককে মারধর করবে, তারও কোনো সত্যতা নেই। পারিবারিক বিরোধেই দপ্তরিকে ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম।’

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার দপ্তরি রাকিবের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি করেছেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলের ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচিতে ঘটনার জন্য প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানমের বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ করেন তারা। এ সময় দপ্তরি রাকিব খানকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিও জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বেলা ২টার দিকে প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানমকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তার চাচাতো ভাই ও একই স্কুলের দপ্তরি রাকিবের বিরুদ্ধে। পরদিন শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পাগলা থানার বারইহাটি বটতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এর পরেই রাকিবকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ওই দিন বিকেলে শিক্ষক নিলুফা খানম মামলা করার পর থেকে কারাগারে আছেন রাকিব।

মানববন্ধনে প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম ও দপ্তরি রাকিবের চাচা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের শিকার হয়েছে রাকিব। তার বিরুদ্ধে যে মামলাটি করেছে, তার কোনো সত্যতা নেই।’

টাংগাব ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য সেলিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা জানি প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরির পরিবারের দ্বন্দ্ব অনেক দিনের। স্কুল পরিষ্কার করতে বললেই প্রধান শিক্ষককে মারধর করবে, তারও কোনো সত্যতা নেই। পারিবারিক বিরোধেই দপ্তরিকে ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম।’

টাংগাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমানের ফুফু হন প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম। অপরদিকে সম্পর্কে তার চাচা দপ্তরি রাকিব।

তিনি বলেন, ‘রাকিব সব সময় নেশা করে, এমন একটি অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাকিবকে কখনও ইয়াবা অথবা নেশাজাতীয় কিছু খেতে দেখিনি। স্কুলে ফুফু নিলুফা খানমকে চাচা রাকিব মারধর করেছে, এটিও অসত্য। দুজনই আমাদের আপনজন। এ জন্য নির্দোষ রাকিবকে অহেতুক ফাঁসানোর বিষয়টি কষ্টজনক।’

মানববন্ধন ও বিক্ষোভে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ও দপ্তরি-কাম প্রহরী ময়মনসিংহ জেলা ও গফরগাঁও শাখার নেতারা। দপ্তরি রাকিবের ওপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে কারাগার থেকে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম বলেন, ‘এলাকার সবাই এখন হঠাৎ কেন এমন কথা বলে জানি না। এলাকায় দপ্তরি রাকিবের পরিবারের অনেক প্রভাব থাকার কারণে এমনটি হতে পারে। মারধরের সময় যারা আমাকে বাঁচিয়েছে, এখন তারাই আমার বিরুদ্ধে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মামলার সাক্ষী ছোটন ও মঞ্জুর দুজনই এখন আমার বিরুদ্ধে চলে গেছে। তারা বলে আমরা সাক্ষ্য দিলে রাকিব কারাগার থেকে বেরিয়ে আমাদের গলা কেটে ফেলবে। এখন সাক্ষীসহ এলাকার সবাই দপ্তরি রাকিবের চাকরি ফেরানোর জন্যই এমন কথা বলছে।’

গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা খাতুন বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরির ঘটনাটি বাংলাদেশের আলোচিত ঘটনা। এটি পারিবারিক, নাকি স্কুলসংক্রান্ত ঘটনা, সেটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর